প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
ভিনরাজ্যের ট্রাকচালক অশ্বিনী কুমার এর প্রতিবাদে সম্প্রতি ইসলামপুর বাইপাসের ইলুয়াবাড়িতে রাস্তায় আড়াআড়িভাবে ট্রাক দাঁড় করিয়ে দেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ও প্রশাসনিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়ায়।
অশ্বিনীবাবু বলেন, ট্রাক নিয়ে রাজস্থান থেকে অসমে নিয়মিত যাওয়া-আসা করি। ১৫ দিনে একবার ইসলামপুর হয়ে যেতে হয়। এই পথে গেলেই গুঞ্জরিয়া এলাকায় জাতীয় সড়কের এন্ট্রি ফি দিতে হয়। না দিলে পরিবহণ দপ্তর গাড়ি আটকে কেস দেয়। সোমবার ৪০০ টাকা দিয়ে এন্ট্রি করার পরও ট্রাক দাঁড় করিয়ে সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে নেওয়া হয়। আমার গাড়ি আন্ডারলোড ছিল। গাড়ির কাগজপত্রও ঠিক আছে। তারপরও হয়রানি করা হচ্ছিল। এজন্য রাস্তায় আড়াআড়িভাবে ট্রাক দাঁড় করিয়ে অবরোধ করি।
ইলুয়াবাড়ি এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য নিক্কিরাজ চৌধুরী বলেন, আমার এলাকায় ট্রাকচালক এন্ট্রি ফি’র প্রতিবাদ করে রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে অবরোধ করেন। চালককে আশ্বাস দিই, ফাইলপত্র ফেরত এনে দেব। পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলি। তাঁরা আমাকে জানান, মনে হচ্ছে গাড়িটি ওভারলোডেড। তাই ওজন করার জন্য গাড়িটি ফিরিয়ে আনতে বলা হয়েছিল। পরে অবশ্য পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিক আমার হাতে গাড়ির কাগজপত্র দিলে চালককে তা ফেরত দিই। এরপর চালক গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন।
এলাকার বাসিন্দা ও চালকদের একাংশের অভিযোগ, গাড়িতে পণ্য ওভারলোড করা বেআইনি। তারপরও একাংশ চালক ওভারলোড নিয়ে গাড়ি চালান। তাঁরা জরিমানা ও কেস এড়াতে এন্ট্রি ফি দেন। এ কাজ পরিবহণ দপ্তরের কর্তারা সরাসরি করেন না। লাইন হোটেলে দালালদের কাছে টাকা দিতে হয়। এরপর ওই গাড়ির নম্বর আধিকারিকদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এভাবে অবৈধভাবে এন্ট্রি ফি দেওয়া গাড়িগুলিকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা এন্ট্রি ফি দেন না, তাঁদের গাড়ি আটকে হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ।
গুঞ্জরিয়া এলাকার একটি লাইন হোটেল থেকে অবৈধ এন্ট্রি ফি নেওয়ার কাজ হতো বলে অভিযোগ। ওই হোটেলের মালিক বলেন, আমি কোনও এন্ট্রি ফি নিই না। অন্য একজন এ কাজ করত। কিন্তু এখন সেসব বন্ধ।
এবিষয়ে ইসলামপুরের আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিক (এআরটিও) কর্মা ভুটিয়ার বক্তব্য জানতে তাঁর দপ্তরে গেলেও তিনি কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।