প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
তবে ৫ বছর পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং এর বৈঠক হল রাশিয়ার কাজানে। ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে। সেখানে মোদির পক্ষ থেকে সীমান্ত সার্বভৌমত্ব নিয়ে অবশ্য কোনও প্রশ্ন তোলা হয়নি। মোদি বৈঠকের পর বলেছেন, শান্তি বজায় রাখতে প্রয়োজন পারস্পরিক আস্থা, সম্মান এবং সংবেদনশীলতা। পক্ষান্তরে জি জিনপিং বলেছেন, যে কোনও মতানৈক্যের সমাধানে প্রয়োজন আরও বেশি পারস্পরিক যোগাযোগ এবং সহযোগিতা। কূটনীতির মঞ্চে এরকমই গালভরা ভারী বাক্যে বিবৃতি প্রদান রীতি। এসব ছাপিয়ে মূল বার্তা হল, ভারত ও চীনের রাষ্ট্রপ্রধানদের এই বৈঠকের প্রাক্কালে লাদাখে সীমান্তে টহলদারি নিয়ে সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর হয়েছিল। যা এই বৈঠকের পথই প্রশস্ত করে। এবং বুধবারের বৈঠকে দুই রাষ্ট্রপ্রধানই ওই সমঝোতা চুক্তিকে স্বাগত জানান। মোদিকে জি জিনপিং বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক মহলের সামনে ভারত ও চীনের যৌথ দায়িত্ব রয়েছে। পাঁচ বছর পর এরকম বৈঠকে যোগ দিতে পেরে খুব ভালো লাগছে। ভারত ও চীন দুটিই প্রাচীন সভ্যতা। তাই এই দুই সভ্যতাকে পরস্পরের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে আধুনিক পৃথিবীকে যৌথ বার্তা দিতে হবে।’
২০২০ সালের এপ্রিল মাসে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে লালফৌজ ঢুকে এসেছিল ভারতের অন্দরে। সংঘর্ষ হয় দুই পক্ষের জওয়ানদের মধ্যে। প্রাণহানি ঘটে দুই পক্ষেরই। রীতিমতো রণসজ্জা তৈরি হয়ে যায় লাদাখ সীমান্ত ও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা জুড়ে। সংঘর্ষ থামলেও ২০২০ সালের পূর্বাবস্থায় ফেরেনি কোনও পক্ষের সেনাই। অবশেষে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের পূর্বাবস্থায় ফেরা নিশ্চিত করতেই সমঝোতা হল সোমবার। আর ৪৮ ঘন্টার মধ্যে হল বহু প্রতীক্ষিত থমকে যাওয়া দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। যদিও বিদেশের মাটিতে। শেষবার এরকমই ব্রিকস সম্মেলনে দুই রাষ্ট্রনায়কের বৈঠক হয়েছিল ২০১৯ সালে। এবার কি তাহলে পরস্পরের দেশসফর শুরু হবে? এখনও সেই পর্ব আসেনি!