প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
হয়েছেন তিনজন। যদিও বুধবার খালেদা জিয়ার দল বিএনপি জানিয়ে দিল, এখনই রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চায় না তারা। এদিন দুপুরে ঢাকার গুলশান এলাকায় বিএনপির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ। তাঁর বক্তব্য, রাষ্ট্রপতি পদ শূন্য হলে সাংবিধানিক সঙ্কট দেখা দেবে। সেক্ষেত্রে বিলম্বিত হবে সাধারণ নির্বাচন। তাই এই মুহূর্তে বিএনপি রাষ্ট্রপতির ইস্তফা চাইছে না।
কয়েক দিন আগে এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন দাবি করেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইস্তফা সংক্রান্ত কোনও নথি তাঁর কাছে নেই। এই মন্তব্যের প্রতিবাদে গতকাল রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন ‘বঙ্গভবন’-এর বাইরে বিভিন্ন সংগঠনের তরফে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিক্ষোভকারীরা বঙ্গভবনে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিস ও র্যাব। দু’পক্ষের সংঘর্ষের জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা চত্বর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চলে আসে সেনাও। তবে এই বিক্ষোভ সত্ত্বেও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, রাষ্ট্রপতি পদ থেকে সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। যদিও এই ইস্যুতে এদিন কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বিক্ষোভ দেখায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। অন্যদিকে, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং পুলিসের আইজি মহম্মদ মইনুল ইসলাম। ফলে বিএনপি না চাইলেও রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের উপর যে চাপ চাপ বাড়ছে, এদিনের বৈঠকেই তা স্পষ্ট। এদিকে, সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের তকমা দিয়ে ছাত্রলিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। রাজনৈতিক ব্যর্থতা লুকতেই এই সিদ্ধান্ত বলে পাল্টা তোপ দেগেছে সংগঠনটি।