প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
মাতৃত্বকালীন ছুটি থেকে ফিরে কাজে যোগ দিয়েছিলেন নিকিতা। কিন্তু ওই সময় তিনি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। সেকথা সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে তিনি জানান। আর তাতেই বিপত্তি। সেবারের মাতৃত্বকালীন ছুটির দিন শেষ হলে আর কাজে যোগ দেওয়ার কোনও নির্দেশ পাননি নিকিতা। লাগাতার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ইমেল করার পরও সংস্থার তরফে কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি। অবশেষে ১১ ও এবং ১৮ এপ্রিল তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ছুটিতে থাকাকালীন সংস্থার যে পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, তার দায় নিকিতাকেই নিতে হবে। পরে সংস্থার এমডি জানিয়ে দেন, নয়া সফ্টওয়্যার এসে গিয়েছে। তাই তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হল।
এমপ্লয়মেন্ট ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হন নিকিতা। তারা তদন্তও শুরু করে। ট্রাইব্যুনালের তরফে জানানো হয়, নিকিতার গরহাজিরায় সংস্থার বিপুল ক্ষতি হয়েছে এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। অন্যদিকে নয়া সফ্টওয়্যার আনা হয়েছে বলে মরগ্যান যে দাবি করেছিলেন, সেরকম কোনও হদিশও ফাস্ট গ্রেড প্রোজেক্ট নামে ওই সংস্থার দপ্তরে নেই। কাজেই শুধুমাত্র দু’বার মাতৃত্বকালী ছুটি নেওয়ার জন্য যে নিকিতাকে বরখাস্ত করা হল, তার জন্য ২৮ হাজার ৭০৬ পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দিতে হবে সংস্থাকে। যদিও এহেন সিদ্ধান্তে নাখুশ ওই সংস্থা ও তার এমডি । যদিও ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিয়েই নিকিতাকে ২৮ হাজার ৭০৬ পাইন্ড ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।