বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে। ওই তরুণী একটি রেস্তরাঁ চালান। রাত একটা নাগাদ রেস্তরাঁ বন্ধ করে ওই সেনা আধিকারিকের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁদের তাড়া করে। দুষ্কৃতীদের থেকে বাঁচতে বাগদত্তাকে নিয়ে থানায় গিয়েছিলেন মেজর। সেই সময় থানায় মাত্র একজন মহিলা কনস্টেবল ছিলেন। শুরুতেই তিনি অপমানজনক কথা বলতে শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর আরও কয়েকজন পুলিসকর্মী উপস্থিত হন। হঠাত্ করেই ওই সেনা আধিকারিককে লকআপে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এভাবে একজন মেজরকে গ্রেপ্তার করা যায় না বলে প্রতিবাদ করেন তরুণী। আর এরপরেই শুরু হয় অত্যাচার। থানার মধ্যেই তাঁর প্যান্ট খুলে নেওয়ার পাশাপাশি বুকে একাধিকবার লাথি মারেন এক পুরুষ পুলিসকর্মী। এমনকী তরুণীকে তিনি নিজের গোপনাঙ্গ দেখান বলেও অভিযোগ। থানার আইসিও তরুণীর উদ্দেশ্যে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেন। বাদ যাননি মহিলা পুলিসকর্মীরাও। তাঁরাও ওই তরুণীর উপর অত্যাচার চালান। অত্যাচারের জেরে নির্যাতিতার চোয়াল সরে যাওয়ার পাশাপাশি একাধিক জায়গায় আঘাত লেগেছে। একটা সময় প্রাণে বাঁচতে এক পুলিসকর্মীকে কামড়ে দেন তিনি। এরপরই পুলিসকে মারধর ও থানা ভাঙচুরের অভিযোগে তরুণীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন ওড়িশার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। আদালতের তত্ত্বাবধানে সিট গঠন করে এই ঘটনার তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন। এই ঘটনায় পুলিসের থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। তরুণীর বাবার অভিযোগ, ‘নিজেদের দোষ ঢাকতে পুলিস আমার মেয়ের বিরুদ্ধে ভুয়ো অভিযোগ এনেছে।’ অভিযুক্ত পুলিসকর্মীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি চাকরি থেকে বরখাস্ত করার দাবি জানিয়েছেন। ওড়িশা পুলিসের ডিজি ওয়াই বি খুরানিয়া জানিয়েছেন, ‘অসত্ আচরণের অভিযোগে পাঁচ পুলিসকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।’ তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদও ঘটনার নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, ‘নারীদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ বিজেপি। তাদের লজ্জা হওয়া উচিত। সারা দেশের মতোই বিজেপি শাসিত ডাবল ইঞ্জিন সরকারের ওড়িশাতেও ঘটেছে ধর্ষণের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা।’
শুক্রবার পুলিস ভবনের বাইরে ধর্নায় বসেন মহিলারা। অভিযুক্ত পুলিসকর্মীদের গ্রেপ্তারির দাবি জানাতে থাকেন। নবীন পট্টনায়েক জানিয়েছেন, তাঁর সরকারের আমলে থানা ও হাসপাতালে গিয়ে কোনও সমস্যায় পড়েছেন কি না জানতে সরাসরি মানুষকে ফোন করতেন তাঁরা। বিজেপি সরকার আসার পর সব বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলও মিলছে হাতেনাতে।