ব্যবসায় বেচাকেনা বেশ ভালো হবে। কাজকর্মে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির আনুকূল্য লাভ ও ভাগ্যোন্নতি। ... বিশদ
এদিকে, স্বঘোষিত ধর্মগুরু নারায়ণ সিং হরি ওরফে ভোলেবাবার অন্যতম সঙ্গী দেবপ্রকাশ মধুকরের সন্ধানে উত্তরপ্রদেশের পাশাপাশি রাজস্থান ও হরিয়ানাতেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। গত মঙ্গলবার হাতরাসের ফুলকরি গ্রামে ভোলেবাবার সত্সঙ্গে পদপিষ্ট হয়ে ১২১ জনের মৃত্যু হয়। ওই সত্সঙ্গের মুখ্য সেবায়েত ছিলেন মধুকর। তবে, এফআইআরে ভোলেবাবার নাম নেই। বদলে মধুকরকেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে দেখানো হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ সরকারের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, মধুকরের সঙ্গেই ভোলেবাবার সন্ধানেও তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস সহ রাজ্যের বিভিন্ন এজেন্সি। তাঁকে এই ঘটনায় জেরা করা হবে। প্রশাসন সূত্রে খবর, ভোলেবাবার ঘনিষ্ঠ সঙ্গী হওয়ার পাশাপাশি এটা জেলার শীতলপুর ব্লকে চুক্তির ভিত্তিতে টেকনিক্যাল অ্যাসিস্টান্ট হিসেবে কাজ করতেন মধুকর। ২০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০০ দিনের কাজের দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। পদপিষ্টের ঘটনার পর তাঁকে ওই কাজ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ভোলেবাবার আইনজীবী এ পি সিং দাবি করেন, স্বঘোষিত ধর্মগুরু পালিয়ে যাননি। তবে তিনি কোথায় গিয়েছেন তা জানেন না। জানতে চানও না। মৈনপুরীর আশ্রমের সামনে দাঁড়িয়ে আইনজীবী বলেন, ভোলেবাবা আইনকে শ্রদ্ধা করেন। খুব তাড়াতাড়ি তিনি আশ্রমে ফিরে আসবেন। পাশাপাশি তাঁর আরও দাবি, পদপিষ্টের ঘটনার জন্য সমাজবিরোধীরা দায়ী।
অন্যদিকে, মঙ্গলবারের ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন পুলিসের আগ্রা জোনের অতিরিক্ত ডিজি অনুপম কুলশ্রেষ্ঠ। রিপোর্টে জেলাশাসক, পুলিস সুপার ও স্বাস্থ্যবিভাগের আধিকারিকদের বিবৃতি রয়েছে। সংগঠকদের গাফিলতি ছিল বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।