ব্যবসায় বেচাকেনা বেশ ভালো হবে। কাজকর্মে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির আনুকূল্য লাভ ও ভাগ্যোন্নতি। ... বিশদ
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা পেশ করে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক বলেছে, পরীক্ষার ফল ইতিমধ্যেই ঘোষিত হয়েছে। দেশজুড়ে ‘বড় মাত্রা’য় পরীক্ষার ‘গোপনীয়তা’ লঙ্ঘন হয়েছে বলে কোনও প্রমাণ এখনও পর্যন্ত হাতে নেই। এই অবস্থায় গত ৫ মে নেওয়া পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে বাতিল হলে সততার সঙ্গে প্রশ্নের উত্তর লেখা লক্ষ লক্ষ পড়ুয়ার স্বার্থ ‘গুরুতর বিপদে’র মুখে পড়বে। তাই পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে বাতিল করা যুক্তিসঙ্গত পদক্ষেপ হবে না। উল্লেখ্য, এবছর দেশজুড়ে ৫৭১টি শহরের ৪ হাজার ৭৫০টি পরীক্ষাকেন্দ্রে নিট-এ বসেছিলেন ২৩ লক্ষের বেশি পড়ুয়া। ফল প্রকাশিত হয় গত ৪ জুন। কিন্তু প্রশ্নপত্র ফাঁস সহ একাধিক অনিয়মের অভিযোগে ঝড় উঠেছে। চলছে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্কও। এই অবস্থায় পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া ও আদালতের নজরদারিতে তদন্তের দাবিতে একঝাঁক আবেদন পেশ হয় সুপ্রিম কোর্টে। তার ভিত্তিতেই হলফনামা পেশ করে চলতি বছরের পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে বাতিলের বিরুদ্ধেই মত দিল শিক্ষামন্ত্রক। কেন্দ্র বলল, দীর্ঘ পরিশ্রমে কোনও রকম বেআইনি পন্থা ছাড়াই সততার সঙ্গে পরীক্ষা দিয়েছেন লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থী। তাঁদের স্বার্থরক্ষায় সরকার দৃঢ়প্রতীজ্ঞ। তাই উদ্বেগের যেসব বিষয়গুলির প্রমাণ রয়েছে, সেগুলির সমাধান করতেই হবে। কিন্তু ভিত্তিহীন যেসব বিষয় নিয়ে আর্জি পেশ হয়েছে, সেগুলি বাতিল করা উচিত আদালতের। এর ফলে যাতে সৎ পরীক্ষার্থী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের অযথা ভুগতে না হয়, তাঁদের যাতে মানসিক যন্ত্রণার শিকার না হতে হয়, সেটা নিশ্চিত করা উচিত। একই সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রকের এই হলফনামায় বলা হয়েছে, কিছু ক্ষেত্রে পরীক্ষার সময় অনিয়ম, প্রতারণা ও অসাধু পন্থা অবলম্বনের অভিযোগ উঠেছে। এইসব অভিযোগ নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করতে বলা হয়েছে সিবিআইকে। বিভিন্ন রাজ্যে দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে সিবিআই ইতিমধ্যেই তদন্তভার হাতে নিয়েছে। তদন্ত শুরুও হয়েছে। একই সঙ্গে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ) যাতে ভবিষ্যতে কোনও রকম অনিয়ম ছাড়াই স্বচ্ছতার সঙ্গে মসৃণভাবে পরীক্ষা নিতে পারে, সেবিষয়ে পরামর্শ গ্রহণে উচ্চ পর্যায়ের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে।