পুনে: পছন্দের প্রার্থী হেরে গিয়েছেন। আর সেই হতাশায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন ৩০ বছরের যুবক। মহারাষ্ট্রের বীদ জেলার ঘটনা। বীদ লোকসভা আসনে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন পঙ্কজা মুন্ডে। কিন্তু তিনি এনসিপির শারদ পাওয়ার গোষ্ঠীর প্রার্থী বজরং সোনাভানের কাছে ৬ হাজারের কিছু বেশি ভোটে হেরে যান। পঙ্কজার হেরে যাওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি দিঘল আম্বা গ্রামের বাসিন্দা পাণ্ডুরং সোনাওয়ানে। তাঁর পরিবার সূত্রে খবর, পঙ্কজার জয় নিয়ে কার্যত নিশ্চিত ছিলেন তিনি। পঙ্কজা জিতলে জেলার উন্নতি হবে বলেও মনে করছিলেন বিজেপির সমর্থক ওই যুবক। কিন্তু পঙ্কজার হারের খবর আসতেই তিনি অসংলগ্ন ব্যবহার করতে শুরু করেন। পাণ্ডুরংয়ের দাদার বক্তব্য, ‘ভাইকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু ডাক্তাররাও বুঝতে পারেননি কী হয়েছে। ভাই শুধু পঙ্কজা দিদির একটি বৈঠকের কথাই বারবার বলে যেত।’ শেষ পর্যন্ত নিজের চাষের জমিতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন পাণ্ডুরং। পঙ্কজার হারের ফলে হতাশা থেকেই যে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন, তা সুইসাইড নোটে লিখে গিয়েছেন তিনি। পাণ্ডুরংয়ের বাড়িতে স্ত্রী, দুটি ছোট সন্তান ও বৃদ্ধ বাবা-মা রয়েছে। তিনিই ছিলেন একমাত্র উপার্জনকারী। ফলে অথই জলে পড়েছেন পরিবারের আত্মীয়রা। তবে শুধু পাণ্ডুরং নন। পঙ্কজার হারের পর এখনও পর্যন্ত তিনজন আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর মিলেছে। এর মধ্যে দুজন বীদ জেলার, একজন লাতুর জেলার বাসিন্দা। এই পরিস্থিতিতে কোনও হঠকারি সিদ্ধান্ত না নেওয়ার জন্য নিজের সমর্থকদের কাছে আবেদন করেছেন পঙ্কজা।
অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রে মারাঠাদের ওবিসি তালিকাভূক্ত না করা ও সংরক্ষণ প্রক্রিয়া শুরু না হওয়ার হতাশায় গলায় ফাঁস আত্মহত্যা করেছেন ২২ বছরের এক তরুণ। জারুদা এলাকার বাসিন্দা ২২ বছরের রামেশ্বর কাকরে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র। মারাঠা সংরক্ষণ শুরু না হওয়ায় তিনি অবসাদে ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন পরিজনরা। মারাঠা সংরক্ষণের দাবি নিয়ে সুর চড়ছে বীদ এলাকায়। পঙ্কজার অনুগামীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। পঙ্কজার নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুত্সা ছড়ানোর অভিযোগও উঠেছে।