আমেদাবাদ: ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৩২ জন। মৃতদের মধ্যে ৯ জন শিশুও রয়েছে। শনিবার বিকেলে মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল গুজরাতের রাজকোট। একটি গেমিং জোনে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। তাতেই জীবন্ত দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৩২ জন। জখমদের উদ্ধারের কাজ শুরু হয় যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। গরমের ছুটি থাকায় বেশ কয়েকজন কচিকাঁচা ওই গেমিং জোনে খেলায় মত্ত ছিল। তখনই ঘটে এই দুর্ঘটনা। রাজকোট বিপর্যয়ে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি জখমদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন তিনি। এছাড়াও এই ঘটনায় দ্রুত উদ্ধারকাজ শেষ করার নির্দেশ দেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। সেইসঙ্গে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে অগ্নিদগ্ধদের চিকিৎসা সুনিশ্চিত করার বিষয়ে রাজকোট প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অপরদিকে, মৃতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্কুলে চলছে গরমের ছুটি। তার উপর শনিবার সপ্তাহের শেষ দিন হওয়ায় রাজকোটের টিআরপি গেম জোনে ভিড় জমিয়েছিল শিশুরা। হঠাৎ তাদের খেলার আনন্দ আতঙ্কের চেহারা নেয়। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে গেম জোনের একটি অস্থায়ী ছাউনি। হাওয়া বেশি থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। লেলিহান শিখায় জীবন্ত দগ্ধ হতে থাকে শিশু সহ ওই অস্থায়ী ছাউনিতে উপস্থিত লোকজন। আগুন লাগার পরই ছাউনিটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। প্রাণ ভয়ে ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। রাজকোটের পুলিস সুপার রাজু ভার্গব জানান, উদ্ধার কাজ শুরু হতেই লাফিয়ে বাড়তে থাকে মৃতের সংখ্যা। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ওই গেমিং জোনের মালিক যুবরাজ সিং সোলাঙ্কিকে পুলিস জেরা করবে। কাদের গাফিলতিতে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দমকলের এক আধিকারিক বলেন, ‘আগুন লাগার প্রকৃত কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। হাওয়ার কারণে আগুন নেভানোর কাজে বেগ পেতে হয়। ওই অস্থায়ী ছাউনির নীচে ঠিক কতজন চাপা পড়েছেন, তা উদ্ধারকাজ শেষ না পর্যন্ত বলা মুশকিল।’
গুজরাতে গেমিং জোন বিপর্যয়ের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, আগুনের লেলিহান শিখা আকাশ ছুঁয়েছে। সেইসঙ্গে ঘন কালো ধোঁয়ায় আশপাশ ভরে গিয়েছে। আগুন আয়ত্তে আনার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। রাজকোট পুরসভার কমিশনার    আনন্দ প্যাটেল জানিয়েছেন, এই ঘটনার দোষীদের কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।