মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
ধলাইয়ের তারাবান কলোনির বাসিন্দা মোরমতি ত্রিপুরা (৩৯)। বুধবার বাড়িতেই কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। তার পরের দিন ওই দম্পতির কাছে সন্তানকে বিক্রি করে দেন ওই আদিবাসী মহিলা। এই সিদ্ধান্তের জন্য আর্থিক অভাবকেই দায়ী করেন তিনি। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই মহিলার একটি ভিডিও পোস্ট করেন বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। ভিডিওতে নিজের বর্তমান পরিস্থিতির কথা খুলে বলেন মোরমতি। সেটি দেখামাত্র নড়েচড়ে বসেন মুখ্য সচিব জে কে সিং। শুক্রবার শিশুটিকে উদ্ধার করার নির্দেশ দেন তিনি। এবিষয়ে মহকুমা শাসক অরিন্দম দাস বলেন, ‘আগে থেকেই ওই মহিলার দুই ছেলে এবং একটি মেয়ে রয়েছে। অভাবের সংসারে চতুর্থ সন্তান পালন করার ক্ষমতা তাঁর ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি। খবর পাওয়ামাত্র তৎক্ষণাৎ আমরা শিশুটিকে উদ্ধার করি। পরে দিন ওকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।’ ভবিষ্যতে ওই পরিবারকে যাবতীয় সাহায্য প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন মহকুমা শাসক।
জ্বালানি কাঠ বিক্রি করে সংসার চালাতেন মোরমতির স্বামী পূর্ণজয়। জিতেন্দ্রর অভিযোগ, প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে পাঁচ মাস আগে তাঁর মৃত্যু হয়। আর্থিক কষ্ট থাকা সত্ত্বেও ওই পরিবারের বিপিএল কার্ড ছিল না। এর জন্য বিজেপি ও তিপ্রা মথার নেতৃত্বাধীন ত্রিপুরা ট্রাইবাল এরিয়াস অটোনমাস ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিলকে কাঠগড়ায় তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর কথায়, ‘সরকার পদক্ষেপ না নিলে, আদিবাসী অঞ্চলে এমন ঘটনা আটকানো সম্ভব নয়।’