মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
ফ্রান্সে তখন রাত প্রায় আড়াইটে। অনসূয়া এয়ারপোর্টে বোর্ডিং করছিলেন। তুমুল ব্যস্ততার মধ্যেও ফোনে ‘বর্তমান’কে বললেন, ‘আমি ভীষণ উচ্ছ্বসিত। কী রি-অ্যাকশন দেব সেটাই বুঝতে পারছি না। দারুণ লাগছে। এমনটা হবে তো কখনও ভাবিনি। এই সম্মান আমার আজীবনের সম্পদ। এর পিছনে অনেকের পরিশ্রম রয়েছে।’
কলকাতার লেক গার্ডেন্সের মেয়ে অনসূয়া। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি নিয়ে পড়াশোনা। তিনিই ইতিহাস গড়লেন প্রথম ভারতীয় হিসেবে কান চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতে। গোটা ছবিটি মাত্র চার দিনে শ্যুট করা। যৌনকর্মীদের কথা বলে ‘দ্য শেমলেস’। মুখ্যচরিত্র রেণুকা হয়েছিলেন অনসূয়া। দিল্লির এক পুলিস অফিসারকে খুন করে পালায় রেণুকা। গত ১৭ মে কানের মঞ্চে প্রিমিয়ার হয় ছবিটির। তারপর এই স্বীকৃতি এল শুক্রবার রাতে। একসময় থিয়েটার করতেন অনসূয়া। কাজ করেছেন বাংলা ছবিতে। তারপর পাড়ি দেন মুম্বইতে। প্রোডাকশন ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেছেন। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘রে’ সিরিজেও কাজ করেছিলেন অভিনেত্রী। পাশাপাশি ভালো লিখতেও পারেন। এখন তিনি গোয়ার বাসিন্দা।
‘ম্যাডলি বাঙালি’র তানিয়াকে নিয়ে কানের মঞ্চে জয়জয়কার। কেমন লাগছে পরিচালক অঞ্জন দত্তর? বললেন, ‘ওই দলটা ভীষণ ইন্টারেস্টিং ছিল। নতুন লোক এলে ছবিগুলি ভালো হয় বলে মনে হয় আমার। এরা প্রত্যেকেই বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। ওর জন্য গর্ব হচ্ছে। অনসূয়ার অনেক কিছু করার ক্ষমতা রয়েছে। অবশ্যই এই পুরস্কার ওকে অনুপ্রাণিত করবে। ওকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।’