বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
২০১৪ সালে দিল্লির মসনদে বসার পর আর্থিক সংস্কারের নামে একের পর সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেই তালিকায় যেমন রয়েছে স্বল্প সঞ্চয়ে সুদ কমানো থেকে শুরু করে পেট্রল-ডিজেলের দামের উপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ তুলে নেওয়া, তেমনই রয়েছে নোটবাতিল, তাড়াহুড়ো করে জিএসটি চালু, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের স্বায়ত্তশাসনে হস্তক্ষেপ ইত্যাদি। বিরোধীরা সেগুলিকে ‘জনবিরোধী’ আখ্যা দিয়েছে। কিন্তু, একার ক্ষমতাতেই দেশের সাধারণ নির্বাচনকে ‘প্রেসিডেন্সিয়াল ইলেকশনে’র রূপ দিয়ে আরও বেশি আসন জিতে ফের ক্ষমতা দখল করেছে তাঁর বিজেপি।
ভোটের আগে নিজের প্রচারমূলক ভিডিও প্রকাশ করে নিজেকে ‘লার্জার দ্যান লাইফ’ হিসেবেও তুলে ধরেছিলেন মোদি। ভোট চাইতে দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, ‘আপনার ভোট কাউকে পরাস্ত করার জন্য নয়। দেশের ভাগ্য বদলানোর জন্য। আজ আমি হিন্দুস্থানের প্রতিটি গলি, মহল্লার ভোটারদের থেকে নিজের জন্য ভোট চাইছি। আপনি পদ্মফুলের ছবি দেওয়া বোতাম টিপুন। আপনার ভোট সরাসরি আমার কাছে আসা চাই।’ এমনকী, পুলওয়ামা হামলা পরবর্তী বালাকোটে বায়ুসেনার বিমানহানার প্রসঙ্গ তুলে নির্বাচনী জনসভায় ভারতের সাহসিকতার কথা তুলে ধরেছিলেন মোদি। বলেছিলেন, ‘আমরা পাকিস্তানে ঢুকে মেরে এসেছি।’ হাড়হিম পরিশ্রম করে সরকারের সাফল্য প্রচারে ছুটে গিয়েছেন দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। করেছেন ১৪২টি সভা। ফল? বিরোধীদের চুরমার করে ৩০৩টি আসন নিয়ে দিল্লি দরবার অটুট রেখেছেন মোদি।
কিন্তু, ২০২৪ সালে ভোটে মোদি চান বিজেপির সাংসদরা তাঁদের নিজের কাজের জোরে দলকে ক্ষমতায় আনুন। আর সেই লক্ষ্যে এখন থেকেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি দলের এমপিদের নিয়ে একটি ওয়ার্কশপ করেন মোদি। সেখানে উপস্থিত পূর্ব দিল্লির সাংসদ গৌতম গম্ভীর প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিত্ব, দূরদর্শিতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। সাংসদদের উদ্দেশে দেওয়া মোদির বার্তা উদ্ধৃত করে প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেছেন, ‘নিজ নিজ কেন্দ্রে গিয়ে কাজ করার জন্য এখন আপনাদের হাতে সাড়ে চার বছরেরও সময় রয়েছে। এলাকার জন্য উন্নয়নমূলক কাজ করুন। যাতে ২০২৪ সালের নির্বাচনে জেতার জন্য আমার নাম ও ভাবমূর্তির সাহায্য নিতে না হয়।’
এরপরেই মঞ্চ থেকে নেমে এসে সাংসদদের মাঝে বসেন মোদি। বলেন, দল বা দেশবাসী এবং সাংসদ ও মন্ত্রীদের মধ্যে কোনও দেওয়াল রাখা যাবে না। তৃণমূল স্তরে কাজের মাধ্যমে কীভাবে ‘ভালো জননেতা’ হওয়া যায়, তারও পাঠ দেন মোদি। উপস্থিত সবাইকে নিজের হাতে খাবারও পরিবেশনও করেন তিনি। প্রথমবারের এমপি গম্ভীরের কথায়, ‘আমাকে সবথেকে যেটা অনুপ্রাণিত করেছিল, তা হল মোদিজির সাংগঠনিক দক্ষতা। দলের প্রত্যেক সদস্যের কী ভূমিকা হবে তার উপর তিনি গুরুত্ব দেন। দলকে যে কোনও পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে থাকার উপদেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।’ ব্যক্তিগত গরিমা নয়, টিম ওয়ার্কের উপর জোর দিয়ে সেদিন সাংসদদের উদ্দেশে মোদির বার্তা ছিল, ‘স্বাস্থ্যের যত্ন নিন। পরিবারকে অবহেলা করবেন না।’