বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
উত্তরাখণ্ডের জিম করবেট ন্যাশনাল পার্কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ‘ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড’ অনুষ্ঠানের একটি এপিসোড শ্যুট করেছেন বেয়ার। ১২ আগস্ট এপিসোডটির সম্প্রচার হওয়ার কথা। তার আগে এক সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাফটা পুরস্কারপ্রাপ্ত এই ব্রিটিশ টিভি সঞ্চালক জানান, বিশ্বনেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী মোদি সঙ্কটের সময়ও একেবারে শান্ত থাকতে পারেন। খারাপ আবহাওয়া সহ সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে যেভাবে তিনি এপিসোডটি শেষ করেছেন, তা প্রশংসার দাবি রাখে। তাঁর কথায়, ‘আমরা রাজনীতিবিদদের ধোপদুরস্ত পোশাকে পোডিয়ামের উপর দেখতেই অভ্যস্ত। কিন্তু, জঙ্গল অন্য জায়গা। আপনি কে বা কী, জঙ্গল তার পরোয়া করে না।’ গোটা সফরে প্রধানমন্ত্রীকে কী কী প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছে, তা নিয়ে বলতে গিয়ে বেয়ার বলেন, ‘আমরা বেশ কয়েকবার পাথরে ধাক্কা খেয়েছিলাম। লাগাতার বৃষ্টিও হচ্ছিল। আমাদের টিম যাঁরা শ্যুট করছিলেন, তাঁদেরও বিপাকে পড়তে হচ্ছিল। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী মোদি আগাগোড়াই শান্ত ছিলেন। গোটা সফরে আমি ওঁকে একইরকম উদ্বেগহীন থাকতে দেখেছি।’
প্রধানমন্ত্রী মোদির যে গুণ বেয়ারসকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করেছে তা হল বিনম্রতা। তাঁর কথায়, ‘চরম প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও সর্বক্ষণ প্রধানমন্ত্রীর মুখে হাসি লেগেছিল। এটাই ওঁর বিনম্রতার প্রমাণ। ভারী বৃষ্টির মধ্যেও তিনি অবিচল ছিলেন। নিরাপত্তারক্ষীরা ছাতা বের করতে চাইলেও, তিনি তা নিতে সাফ অস্বীকার করে দেন।’ এখানেই শেষ নয়। একসময় একটি খরস্রোতা নদী পেরতে হতো প্রধানমন্ত্রীকে। তার জন্য ত্রিপল এবং আগাছা দিয়ে একটি ভেলা বানান বেয়ার। যা দেখে প্রধানমন্ত্রীর রক্ষীরা হাঁ হাঁ করে ওঠেন। তাঁরা কিছুতেই প্রধানমন্ত্রীকে ওই ভেলায় চড়তে দিতে রাজি ছিলেন না। বেয়ার বলেন, ‘উনি কিন্তু একবাক্যে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন। আমরা দু’জনে ভেলায় উঠতেই সেটি ডুবতে শুরু করে। তাই আমি নেমে সাঁতার কাটতে কাটতে ভেলাটিকে ঠেলে পাড়ে নিয়ে আসি। উনি (মোদি) ভিজে গিয়েছিলেন। কিন্তু, একবারের জন্যও তাঁর মুখ থেকে হাসি উধাও হয়নি।’ এই মুহূর্তগুলোই একজন মানুষকে চিনতে সাহায্য করে বলে জানান বেয়ার।
তবে, প্রধানমন্ত্রীর যতটা না সমস্যা হয়েছে, তার চেয়ে বেশি সমস্যা যে তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের হয়েছে, তা মেনে নিয়েছেন বেয়ার গ্রিলস। তিনি বলেন, ‘ওর নিরাপত্তরক্ষীদের টিমের কাছে বিষয়টি অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল। কারণ, ওঁদের সর্বক্ষণ অস্ত্র ও নানা ধরনের ব্রিফকেস নিয়ে ঘুরতে হতো।’