বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
এদিকে, ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকেই কাশ্মীর এবং কাশ্মীরিদের সম্পর্কে নানা অশ্লীল মন্তব্যে ভরে যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। জমি কেনা, মেয়েদের বিয়ে করা এমনকী কাশ্মীরে বাড়ি বানিয়ে বাকি জীবন কাটিয়ে দেওয়ার স্বপ্নে বিভোর নেটিজেনদের একাংশ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেটিজেনদের মধ্যে থেকে এনিয়ে নিন্দার ঝড়ও উঠেছে। এরকম একটা আবর্তে কাশ্মীরি মেয়েদের বিয়ে করা সংক্রান্ত উত্তরপ্রদেশের বিজেপি বিধায়ক এবং হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য একশ্রেণীর স্বপ্নাতুর নেটিজেনদের আরও উৎসাহ জুগিয়েছে। গত সোমবার রাজ্যসভায় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপের সূচনার দিনই দলীয় কর্মীদের এক সভায় উত্তরপ্রদেশের খাটাউলির বিজেপি বিধায়ক বিক্রম সিং সাইনি বলেছিলেন, এবার থেকে অবিবাহিত কর্মী-সমর্থকরা কাশ্মীরের ফর্সা মেয়েদের বিয়ে করতে পারবেন। কর্মী-সমর্থকরা এই বিষয়ে খুব উৎসাহিত। এই পর্বেই গত সোমবার শুক্রবার হরিয়ানার ফতেহাবাদে ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট রাজ্যের নারী-পুরুষ অনুপাত নিয়ে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী খট্টর। সেখানে তিনি বলেন, ছেলে ও মেয়ের অনুপাত সমান না হলে ভবিষ্যতে কী হতে পারে, সেটা সবাই জানে। এক মন্ত্রী আমায় বলছেন, বিহার থেকে মেয়ে নিয়ে আসতে হবে। এখন অনেকে বলছেন, কাশ্মীরের দরজা তো খুলে গিয়েছে। তাই সেখান থেকেও মেয়ে নিয়ে আসা যাবে। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী ও উত্তরপ্রদেশের বিধায়কের ওই বক্তব্য ঘিরেই দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
সেই সূত্রেই এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন মমতা। তিনি লিখেছেন, আমরা এবং আমাদের মতো যাঁরা সরকারি উচ্চ দপ্তরে বসে রয়েছি, অবশ্যই উচিত জম্মু-কাশ্মীরের প্রিয় মানুষগুলোকে নিয়ে কোনও অসংবেদনশীল মন্তব্য না করা। এটা শুধু জম্মু-কাশ্মীরের জন্যই নয়, গোটা দেশের পক্ষেই হবে হৃদয়বিদারক।