প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
নবান্ন সূত্রের খবর, বৈঠকে আলুর দাম বিস্তারিত আলোচনা হয়। হিমঘর থেকে বেরনোর পর জ্যোতি আলুর দাম কেজিতে ২৫ টাকায় নামাতে বলা হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে এই দাম বেড়ে ২৭ টাকা হয়। কলকাতার খুচরো বাজারে জ্যোতি আলুর দাম পৌঁছে যায় কেজি প্রতি ৩৫ টাকা। অথচ কয়েকদিন আগেও তা ছিল ৩১-৩২ টাকার আশপাশে। সরকারের তরফে এদিনও আলু ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এবার ৩০ নভেম্বরের নির্ধারিত সময়ের পর হিমঘর চালু রাখার সময়সীমা আর বাড়ানো হবে না। এখন হিমঘর থেকে কম পরিমাণে আলু বের করলে ব্যবসায়ীরা পরে কিন্তু সমস্যায় পড়তে পারেন। ৩০ তারিখের পর হিমঘরে মজুত সব আলু বের করে দিতে হবে। ব্যবসায়ীদের এও জানিয়ে দেওয়া হয়, হিমঘরের আলুর উপর আর খুব বেশিদিন নির্ভর করতে হবে না। উত্তরপ্রদেশ থেকে নতুন আলু তাড়াতাড়িই বাজারে চলে আসবে। কলকাতার পাইকারি বাজারে ইউপির আলু ২২ টাকা কেজি দামে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়ে দেন সরকারি কর্তা।
নবান্নের বৈঠকে আলু ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, অতিবৃষ্টি ও শ্রমিকদের উপস্থিতি কমে যাওয়ার কারণেই হিমঘর থেকে কয়েকদিন আলু কম বেরিয়েছিল। তাই দাম অল্প বেড়েছে। দাম ফের কমে যাবে। অন্যদিকে, প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় দাবি করেন, হিমঘরে দাম কেজিতে মাত্র ১ টাকার মতো বেড়েছিল। দাম যা বেড়েছিল তাতে খুচরো বাজারে ৩৫ টাকা কেজি দরে জ্যোতি আলু বিক্রি হওয়ার কথা নয়।
টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দেন বৈঠকে জানান, তাঁরা খোঁজ-খবর নিয়ে দেখেছেন, কলকাতার বাজারে যেসব জেলা থেকে মূলত সব্জির সরবরাহ হয় (দুই ২৪ পরগনা ও নদীয়া) সেখানকার মধ্যে একমাত্র বনগাঁর কিছু এলাকা ছাড়া অতিবৃষ্টিতে কোথাও সব্জির ক্ষতি হয়নি। কলকাতার পাইকারি বাজারে সব্জির দাম এখন কিছুটা কমেছে। তা সত্ত্বেও খুচরো বাজারে, তুলনামূলকভাবে সব্জির দাম বেশি। তাই সরকারি নজরদারি বাড়ানো হবে বলে বৈঠকে ঠিক হয়। সব্জির গাড়ি থেকে যাতে মাত্রাতিরিক্ত পুজোর চাঁদা আদায় না করা হয় তার জন্য উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসককে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।