প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
সোমবার কলকাতার একাধিক কালীপুজোর উদ্বোধন করেন মমতা। প্রথমে তিনি যান গিরিশ পার্ক ফাইভ স্টার স্পোর্টিং ক্লাবের কালীপুজোয়। তারপর জানবাজার, শেক্সপিয়ার সরণী, ভবানীপুর এলাকার কালীপুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সব জায়গাতেই সর্বধর্ম সমন্বয়ের কথা উঠে আসে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে। বস্তুত, কলকাতার মধ্যেই রয়েছে মিনি ভারতবর্ষ। সব ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। যে ছবিটা আরও বৃহৎ আকারে ধরা পড়ে ভবানীপুর এলাকায়। যেখানকার বিধায়ক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবে এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডের খবর এবং এবারের লোকসভা ভোটের প্রতিটি বুথের ফল তাঁর নখদর্পণে। যে সূত্রে মমতা বলেন, আমার খারাপ লাগে ভোটপর্বে কেউ কেউ বাঙালি-অবাঙালি করে দেয়। এটা দয়া করে করবেন না। জায়গাটার নাম বাংলা। সবাইকে নিয়ে আমরা চলি। এটা আমার বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পরে। আপনারা আমাকে সাপোর্ট দিয়েছেন বিধানসভায়। কিন্তু লোকসভায় বুথের ফল দেখেছি। তাতে ৯০০ থাকলে আমরা একটা মাত্র পেয়েছি। মমতার আরও সংযোজন, এতে নিজেদের মধ্যে সদ্ভাব নষ্ট হয়। এটা কেন হবে? কাউন্সলর আমাদের, বিধায়ক আমাদের, সাংসদ আমাদের। বাংলা তাঁদের, যাঁরা বাংলার জন্য ভাবেন। বাংলা একমাত্র জায়গা, যেখানে কেউ কোনও প্রশ্ন করবে না, কোন জাত, কোন ধর্ম, কী খান ভেজ নাকি নন ভেজ!
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, মমতা তাঁর বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে অবাঙালিদের কাছে তৃণমূলকে সমর্থন ও সহযোগিতা করার বার্তা পৌঁছে দিলেন। লক্ষণীয় বিষয় হল, এবারের লোকসভা ভোটের ফলাফল বলছে, শহরাঞ্চলে তৃণমূল কম ভোট পেয়েছে। বিশেষ করে অবাঙালি সম্প্রদায়ের মানুষজন লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রতি সমর্থন দেখিয়েছেন। যে প্রেক্ষাপটেই মমতা আহ্বান, বাংলায় কোনও ভেদাভেদ নেই। দয়া করে ভুল বুঝবেন না। বাংলাকে নিজের চোখে দেখুন।