প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
আর জি করে অভয়া খুন ও ধর্ষণের ঘটনার তদন্তে নেমে সিবিআই প্রথমে ৮ ও ৯ আগস্ট চিকিৎসক, নার্স সহ হাসপাতালের কর্মীদের ডিউটি রোস্টার সংগ্রহ করে। এই দু’দিন ডিউটিতে থাকা কর্মীরা ঘটনার বিষয়ে কিছু জানতেন কি না, সেটা বের করতেই এগুলি নিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। রোস্টার থেকে দেখা যায়, তাতে বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিকর্তা, প্রিন্সিপাল ও অধ্যক্ষের সই রয়েছে। এই চার্ট কবে তৈরি করা হয়েছে তারও উল্লেখ হয়েছে। হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপের চেম্বারে ঢুকে তল্লাশি চালানোর সময় ওই দু’দিনের আর একটি রোস্টার উদ্ধার করেন। দু’টি রোস্টার মেলানোর সময় গরমিল নজরে আসে তদন্তকারীদের। এখান থেকেই তদন্ত অন্যদিকে মোড় নেয়। দেখা যায়, প্রথমে বাজেয়াপ্ত করা রোস্টারে বিভিন্ন বিভাগে যে সমস্ত হাসপাতাল কর্মীদের নাম রয়েছে, তাঁদের কয়েকজনের নাম নেই সন্দীপ ঘোষের ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া লিস্টে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তদন্তকারীরা জানতে পারেন, সংশ্লিষ্টরা ডিউটিতে ছিলেন ৮ ও ৯ আগস্ট। এখান থেকে তদন্তকারীরা বুঝতে পারেন, নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়েই এই কাজটি করেছেন হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। আবার রোস্টারে এমনকিছু নাম ছিল, যাঁরা ডিউটিতেই ছিলেন না বলে জেনেছেন তদন্তকারীরা। এই বিষয়ে সন্দীপকে প্রশ্ন করা হলেও তিনি উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন। হাসপাতালের বিভিন্ন আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই জেনেছে, ওই লিস্ট সন্দীপ তৈরি করে বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানদের দিয়ে জোর করে সই করিয়েছিলেন। তদন্তকারীরা মনে করছেন, নিজের পছন্দের লোক যাতে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে না পড়েন এবং আসল ঘটনা না বেরিয়ে আসে সেজন্যই সন্দীপ এই কাজ করেছিলেন। এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য জোগাড় চলছে। একইসঙ্গে আর্থিক অনটনের কারণে ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙতে চেয়ে সন্দীপ ঘোষের মামলায় সিবিআইয়ের কাছ থেকে ৩০ অক্টোবর রিপোর্ট চেয়েছে হাইকোর্ট। এটি ভাঙলে এজেন্সির কোনও অসুবিধা হবে কি না জানতে চাওয়া হয়।