প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে, ২০২৫ সালে অবশেষে সেন্সাসের কাজ শুরু হবে। সেন্সাসের পরিসংখ্যান প্রকাশিত হওয়ার পর, ২০২৬ সালেই গঠন হবে ডিলিমিটেশন কমিশন। তাদের কাজ হবে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধিহার এবং মোট জনসংখ্যা সহ কয়েকটি মাপকাঠি অনুযায়ী লোকসভা ও বিধানসভা আসনের সীমানা পুনবির্ন্যাস। ওই বর্ধিত লোকসভা আসনের ভিত্তিতেই ২০২৯ সালে হবে সাধারণ নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অবশ্য শুধু বর্ধিত লোকসভা আসনের ভিত্তিতে ভোটের অঙ্কে থেমে থাকতে চাইছেন না। তাঁর টার্গেট ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন। এখানেই অঙ্ক শুরু মোদির। কারণ, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার লক্ষ্য করে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলের ধারণা, দক্ষিণ ভারতে লোকসভা আসন কমে যেতে পারে। পক্ষান্তরে বাড়বে উত্তর ও পূর্ব ভারতে। কারণ দক্ষিণ ভারতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমে গিয়েছে। কমেনি উত্তরে। দক্ষিণে এমনিতেই বিজেপির ভিত মজবুত নয়। সেখানে আসন কমলে কট্টরপন্থী হিন্দুত্ববাদীদের লাভই বেশি। কিন্তু মোদির উদ্বেগ বাড়িয়েছে সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটের ফল। শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত বহু রাজ্যেই ধস নেমেছে বিজেপির ভোটব্যাঙ্কে। আসন পুনর্বিন্যাস হলে গেরুয়া শিবির অঙ্ক কষবেই। তাদের প্রাথমিক লক্ষ্যই হবে বাংলা এবং উত্তরপ্রদেশ। এই দু’টি রাজ্যের আসন বাড়িয়ে তাদের দু’ভাগে ভেঙে দেওয়ার ফর্মুলা কাজে লাগানো হলেও বিস্ময়ের কিছু থাকবে না। দুর্বল আসনের পাশের কেন্দ্রেই যদি মজবুত ভোটব্যাঙ্ক থাকে, তাহলে দু’টি জুড়ে গেলে ধাক্কা লাগবে না গেরুয়া শিবিরে। এই আসন বিন্যাসই তাই ভোটের অঙ্ক হতে চলেছে মোদির।
অতীত রীতির পরিবর্তন অবশ্য আরও হবে। ২০২৫ সালে সেন্সাস হলে সেই মতোই কার্যকর হবে ভবিষ্যতের সেন্সাস বৃত্ত। অর্থাৎ, আগামী দিনে প্রতি ১০ বছর অন্তর এই ২০২৫ সালকে ভিত্তি করেই হবে সেন্সাস। ১০ বছরের সেই রীতি ভেঙে পরবর্তী সেন্সাস ২০৩৫ সালে হবে বলেই সরকারি সূত্রের খবর। শেষবার ১৯৭১ সালের সেন্সাসের ভিত্তিতে ১৯৭৩ সালে ডিলিমিটেশন হয়েছিল। ৫৪৩ ধার্য হয়েছিল লোকসভার আসন সংখ্যা। এরপর ১৯৭৬ সাল আইন সংশোধন এবং ২০০২ সালে ফের সংশোধনী এনে এই প্রক্রিয়াকে স্থগিত রাখা হয়েছিল। তাই ২০২৬ সালে আইন অনুযায়ী নতুন আসন পুনর্বিন্যাস করতেই হবে।
এদিকে জানা যাচ্ছে, সেন্সাসে এবার কাস্ট সেন্সাস না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। বরং ধর্ম নিয়ে একটি অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। নাগরিক মনে করলে একটি ধর্মের অধীনে বিশেষ সম্প্রদায়ের উল্লেখ করতে পারবেন। যেমন হিন্দুদের মধ্যে কেউ যদি বৈষ্ণব অথবা সতনামি পরিচয় দিতে চান, সেই অধিকার ও ব্যবস্থা থাকবে সেন্সাস ফর্মে।