প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
২০২২ সালের টেট-এর ফল প্রকাশিত হলেও মামলার গেরোয় নিয়োগ শুরু করা যায়নি। ২০২৩ সালের টেট-এর ফল প্রকাশের জন্য চলতি বছরে একাধিক ‘ডেডলাইন’ দেওয়া হয়েছিল। প্রশ্নপত্র আপলোড, আদর্শ উত্তরপঞ্জী আপলোড, তা থেকে প্রার্থীদের মতামত গ্রহণ—সবই হয়েছে। কিন্তু ফল প্রকাশ করেনি পর্ষদ। জানা গিয়েছে, আগের পরীক্ষা সংক্রান্ত মামলাগুলি মেটার আগে ফলপ্রকাশ না করাই শিক্ষাদপ্তর তথা পর্ষদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। তবে এনিয়ে পর্ষদ আগে কিছু জানায়নি। এখন বছর শেষ হতে চলেছে। তাই এতদিন ফলপ্রকাশ না হওয়ায় পর্ষদকে বিষয়টি মেনে নিতেই হচ্ছে। সাধারণত ডিসেম্বরে টেট নেওয়া হয়। কিন্তু পরীক্ষা নিতে গেলে ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করে অন্যান্য প্রস্তুতিও সেরে ফেলতে হতো। টেট নিয়ে বিগত কয়েক বছরে যুদ্ধকালীন তৎপরতা দেখা গিয়েছিল। এবার সেসব না হওয়ায় বোঝা যাচ্ছিল যে ডিসেম্বরে অন্তত টেট হচ্ছে না। অবশেষে পর্ষদ নিজেই অবস্থান স্পষ্ট করে দিল।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, টেট-এ প্রশ্ন ভুল নিয়ে মামলা করা এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাইকোর্টে একবার সাফল্য মেলায় প্রার্থীদের একজোট করে মামলা করার বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছে বিশেষ একটি মহল। ২৩-২৪টি প্রশ্ন ভুল ছিল দাবি করে মামলা হচ্ছে। যদি একটি প্রশ্নের ক্ষেত্রেও দাবি মিলে যায়, তাহলে বহু প্রার্থী টেট উত্তীর্ণ বলে গণ্য হবেন। সেই আশায় টাকাও ঢালছেন বহু প্রার্থী। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে এ সংক্রান্ত একটি মামলায় আবেদনকারীদের দাবি খারিজ হয়েছে। তবে মূল মামলাটি চলছে হাইকোর্টে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্বভারতীর সাবজেক্ট এক্সপার্টরা ভুল প্রশ্ন সংক্রান্ত অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখছেন। তাঁদের রিপোর্টের ভিত্তিতে হাইকোর্ট কী রায় দেয়, তার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে পর্ষদকে।
এদিকে, ২০২২-এর টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের একাংশ এদিন স্কুলশিক্ষা কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন। এ বছরের টেট বাতিল হওয়ার সিদ্ধান্তে তাঁরা খুশি। তাঁদের বক্তব্য, নতুন টেট উত্তীর্ণদের সঙ্গে তাঁদের আর প্রতিযোগিতায় নামতে হবে না। তাঁদের অবশ্য আগাগোড়াই দাবি ছিল, আগের টেট উত্তীর্ণদের নিয়োগ না করে নতুন ফলপ্রকাশ বা পরীক্ষাগ্রহণ যেন না হয়। শিক্ষামহলের একাংশের বক্তব্য, সরকারি নথি অনুযায়ী প্রাথমিক স্তরে বাড়তি শিক্ষক রয়েছে। সমস্ত স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি প্রাথমিক স্তরে না আসা পর্যন্ত বিরাট সংখ্যক শূন্যপদ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনাও কম।