ব্যবসায় বেচাকেনা বেশ ভালো হবে। কাজকর্মে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির আনুকূল্য লাভ ও ভাগ্যোন্নতি। ... বিশদ
আবাসন, গণপরিবহণ, খাবার, বস্ত্র, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী, বিনোদন সহ ২০০টি ক্ষেত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে তালিকাটি তৈরি করেছে মারসার নামে ওই সংস্থাটি। সেই হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরের প্রথম পাঁচে রয়েছে হংকং, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ডের জুরিখ, জেনেভা ও বাসেল। সবচেয়ে সস্তা তিন শহর পাকিস্তানের ইসলামাবাদ, নাইজেরিয়ার লাগোস ও আবুজা।
কিন্তু দেশের মধ্যে কলকাতা কি সত্যিই সস্তা? বেসরকারি সংস্থার কর্মী সুমন রায়ের সাফ জবাব, ‘হ্যাঁ! যাদবপুরের কফি হাউজে বসে আড্ডা মারতে মারতে দু’কাপ কফি আর বাটার টোস্ট খেলাম ১০০ টাকায়। এত সস্তা আর কোন শহর?’ চাকুরিজীবী সপ্তর্ষি ভট্টাচার্য বলছিলেন, ‘বন্ধু-বান্ধবের কাছে শুনি, মুম্বই-বেঙ্গালুরুতে এক কামরার ফ্ল্যাট ভাড়া দিতে গিয়ে মাস মাইনে শেষ হয়ে যায়। সেদিক থেকে কলকাতায় বাড়িভাড়া অনেক সস্তা।’ এপ্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূরদর্শিতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘এখানে মানুষের জন্য একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করা হয়েছে। মাত্র ৫ টাকায় ডিম-ভাত তার মধ্যে অন্যতম। দেশজুড়ে মূল্যবৃদ্ধির যন্ত্রণার মধ্যেও এ রাজ্যের মানুষ অনেক রেহাই পায়।’
অর্থনীতির প্রাক্তন অধ্যাপিকা লপিতা সরকার অবশ্য কলকাতার সমস্ত এলাকাকে সস্তা বলতে রাজি নন। তিনি বলেন, কালীঘাট-রাসবিহারীতে বাড়িভাড়া খুব কম নয়। কিন্তু এখানে শ্রম সস্তা। আশপাশ থেকেই সব্জি-মাছ আসায় খাওয়াও মোটের উপর সস্তা। তারপর এখানে গণপরিবহণ ব্যবস্থা খুবই ভালো। এর জন্য এশহর সস্তা হওয়ার পক্ষে অনুকূল।’