ব্যবসায় বেচাকেনা বেশ ভালো হবে। কাজকর্মে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির আনুকূল্য লাভ ও ভাগ্যোন্নতি। ... বিশদ
সংঘাতের রেশ যে রয়েছে, তার প্রমাণ অবশ্য দিয়েই চলেছেন রাজ্যপাল। কারণ এদিন সমাজমাধ্যমে রাজভবনের তরফে লেখা হয়েছে, রাজ্যপালের মর্যাদা খর্ব করার জন্য লাগাতার প্ররোচনামূলক বক্তব্য এসেছে স্পিকারের তরফে। তাই শপথ নেওয়াতে দেরি হয়েছে। তবে নির্বাচিত দুই বিধায়কের লিখিত অনুরোধেই যে ‘বরফ’ গলেছে, এমন খোঁচা দেওয়া ইঙ্গিতও রয়েছে এক্স হ্যান্ডলে। তাতে রাজ্যপাল দু’জনকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন।
গত ৪ জুন নির্বাচিত হয়েছেন দুই বিধায়ক। তারপর থেকে এই দু’জনকে শপথ পাঠ করানোর ব্যাপারে রাজ্যপালের কাছে বারবার অনুরোধ গিয়েছে বিধানসভার তরফে। রাজ্যপালের গোঁ ছিল, শপথবাক্য পাঠ হবে। তবে তা রাজভবনে। এরই মাঝে সদ্য নির্বাচিত দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা এবং রায়াত জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁরা রাজভবনে শপথ নেবেন না। বরং তাঁদের অনুরোধ ছিল, বিধানসভায় এসে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান তাঁদের শপথবাক্য পাঠ্য করান। সেই অনুরোধে কোনও উচ্চবাচ্য করেনি রাজভবন। তাই বিশেষ অধিবেশনের আগের রাতে (একমাসের মাথায় ৪ জুলাই) হঠাৎই রাজ্যপালের এহেন পিছু হটার কারণ নিয়ে বিস্তর জল্পনা শুরু হয়েছে।
সাংবিধানিক প্রধান পদকে সম্মান জানিয়ে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরেও শপথ প্রসঙ্গে কোনও ইতিবাচক বার্তা না আসায় বিধানসভা যে আর রাজভবনের দিকে তাকাতে চাইছে না, তা স্পষ্ট হয়ে যায় এদিন দুপুরে। অন্তত অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাতেই তা স্পষ্ট হয়েছে। বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, ‘যদি কেউ ভেবে থাকেন, আমরা অসহায় হয়ে গিয়েছি, তাহলে ভুল ভাবছেন। রাজ্যপালের উপর নির্ভর করে না বিধানসভা।’