ব্যবসায় বেচাকেনা বেশ ভালো হবে। কাজকর্মে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির আনুকূল্য লাভ ও ভাগ্যোন্নতি। ... বিশদ
আবহাওয়া দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১ জুন থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত সময়ে দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলায় ৫০ শতাংশের বেশি বৃষ্টির ঘাটতি আছে। ৫০ শতাংশের কম ঘাটতি আছে শুধু কলকাতা, পশ্চিম বর্ধমান ও পুরুলিয়া জেলায়। পুর্ব মেদিনীপুর ও মুর্শিদাবাদে ঘাটতি ৫০ শতাংশের বেশি। তাও জুনের শেষে বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি পাওয়ায় সব জেলায় ঘাটতি কিছুটা হলেও কমেছে। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে উত্তর দিনাজপুর ছাড়া সব জেলায় স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণের নিরিখে প্রথম দুটি স্থানে আছে আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে। কোচবিহারে বৃষ্টির পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে ১০০ শতাংশেরও অধিক।
আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস জানান, বর্ষাকালে উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা বিস্তৃত থাকে। এই অক্ষরেখাটি বৃহস্পতিবার রাজস্থান থেকে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। অক্ষরেখাটির অংশ কিছুটা নীচের দিকে নেমে এসে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত থাকলে দক্ষিণবঙ্গে বেশি মাত্রায় বৃষ্টিপাত হতো। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেরকম পরিস্থিতি হয়নি। অক্ষরেখাটি এখন পশ্চিমবঙ্গের উপরের অংশ দিয়ে যাওয়ায় উত্তরবঙ্গ বেশি বৃষ্টি পাচ্ছে। অন্যদিকে, বর্ষার মরশুমে অসমসহ উত্তর-পূর্ব ভারত এবং বিহারের উপর একের পর এক ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হচ্ছে। সেগুলির প্রভাবেও উত্তরবঙ্গ বেশি বৃষ্টি পাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার পশ্চিম ঝাড়খণ্ডের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত ছিল। কিন্তু এই অবস্থানে থাকা কোনও ঘূর্ণাবর্ত খুব বেশি মাত্রায় দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি দিতে পারবে না। বায়ু প্রবাহের গতিপ্রকৃতির জন্য এরকম পরিস্থিতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। জুন মাসের শেষদিকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়ে পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশা উপকূলের দিকে এসেছিল। এর জেরে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ে। ওই নিম্নচাপটি দ্রুত দুর্বল হয়ে ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হয়ে ঝাড়খণ্ডের যেদিকে যায় তাতে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। জুলাই মাসে কয়েকদিনের মধ্যে আরও একটি নিম্নচাপ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এটির গতিপ্রকৃতির উপর দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার বৃষ্টি বৃদ্ধির বিষয়টি অনেকখানি নির্ভর করছে।