মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণ ২৫ মে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও দুই মেদিনীপুরে ভোটগ্রহণ সেদিন। আর সপ্তম বা শেষ দফার ভোট ১ জুন। তৃণমূলের স্থির বিশ্বাস, শেষ দফার নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে বিজেপির পরাজয় সুনিশ্চিত করে দেবেন কলকাতা ও দুই ২৪ পরগনার মানুষ। ওই সূত্রেই শেষ দফার লোকসভা আসনগুলিকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তিনটি জনসভা করেন তিনি। যাদবপুর কেন্দ্রের প্রার্থী সায়নী ঘোষের সমর্থনে ভাঙড়ে এবং মথুরাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী বাপি হালদারের সমর্থনে সংগ্রামপুরে জনসভা করেন অভিষেক। শেষে তাঁর সভা ছিল সাতগাছিয়ায়। এলাকাটি ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। স্বয়ং অভিষেকই সেখানকার প্রার্থী।
তিনটি জনসভা থেকেই অভিষেকের বক্তব্যের বিষয়বস্তু ছিল দুটি ভাগে ভাগ করা। প্রথমত, নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়েও সেসব রক্ষা করতে পারেননি। আর দ্বিতীয়ত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কথা দিয়ে সেসব পুরোপুরি রক্ষা করেছে এবং এগিয়ে নিয়ে চলেছে বাংলাকে। এদিন অভিষেক বলেন, স্বৈরাচারী ও অত্যাচারী মোদি সরকারে বিদায় হচ্ছেই, কেউ ঠেকাতে পারবে না। সাধারণ মানুষের চোখ-মুখের ভাষাতেই স্পষ্ট, জনবিরোধী বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মানুষ শেষ দফার নির্বাচনে এমনভাবে ভোট দেবেন যে, দিল্লিতে বিজেপির অন্দরে ভূমিকম্প ঘটবে। ১ জুন একটা করে ভোট পড়বে আর খসে পড়বে মোদির গদির পায়া।
এদিন তিনটি জনসভাতেই সাধারণ মানুষের কাছে অভিষেক জানতে চান, মোদির প্রতিশ্রুতি মতো ১৫ লক্ষ টাকা কারও অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে কি না। আম জনতার একসুরে উত্তর ভেসে আসে—‘না’। ফলে মোদি ১০ বছর ধরে কেন্দ্রে সরকারে থেকেও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছেন বলে অভিযোগ করেন অভিষেক। যিনি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছেন, তাঁকে কোনওভাবেই ‘ভোট নয়’ বলে আবেদন রাখেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। অভিষেক বলেন, এই নির্বাচন বিজেপিকে বিদায় জানানোর ভোট। লাঞ্চনা, বঞ্চনা, বিভাজন আর অত্যাচারের জবাব দেওয়ার ভোট। এর আগের দফার ভোটগুলিতেই বিজেপির ঘাড়-মাথা ভেঙে গিয়েছে। শেষ দফার ভোটে সব শেষ হয়ে যাবে বিজেপির।
এবারের লোকসভা ভোটে সন্দেশখালির ঘটনাকে হাতিয়ার করে বিজেপি রাজনৈতিক ফায়দা তোলবার চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু সন্দেশখালির একাধিক ভিডিও সামনে আসার পর বিজেপির সব ‘ষড়যন্ত্র’ ফাঁস হয়ে গিয়েছে। এখানেই অভিষেক টেনে আনেন ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিলের ইস্যুটি। তাঁর বক্তব্য, হাইকোর্টের একাংশকে ব্যবহার করে ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করা হয়েছে। বিজেপি নেতা যে-এজলাস থেকে রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন, সেখান থেকেই এসেছে ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিলের নির্দেশটি। এটা কাকতলীয় নয়!
সাধারণ মানুষের কাছে অভিষেকের আবেদন, প্রত্যেকটি আসনে শুধু তৃণমূল প্রার্থীদের ‘জয়ী’ করা নয়, জয়ের ব্যবধান এমন হবে, যাতে বিজেপির মুখে ‘ঝামা ঘষা যায়’!