মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
সিআইডি জেনেছে, আমানুল্লা ভাড়া করেছিল ফয়সলকে। সে কলকাতায় আসে ৩০এপ্রিল। তার সঙ্গে এসেছিল মুস্তাফিজুর। দু’দিন নিউটাউনে কাটিয়ে ২মে সদর স্ট্রিটে একটি হোটেলে ওঠে ফয়জল ও মুস্তাফিজুর। কলকাতায় চিকিৎসার জন্য এসেছি বলে তারা উল্লেখ করে। এরপর চার তারিখ একটি হুইল চেয়ার কিনে আনে ফয়জল। সিআইডি জেনেছে, তারা সকালে বেরিয়ে প্রতিদিন শাহিন ও আমানুল্লার সঙ্গে দেখা করত। সেখানেই থাকত জিহাদ ও সিয়াম। কীভাবে অপারেশন চালাতে হবে, তার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়।
গত ১৩ মে সকালে হোটেল থেকে একটি গাড়ি ভাড়া নিয়ে বরানগরে বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়ি থেকে এমপি’কে গাড়িতে তুলে নিউটাউনে নিয়ে আসে ফয়জল। অ্যাক্সিস মলের কাছে ওই গাড়িটি ছেড়ে দেওয়া হয়। অপর একটি গাড়ি নিয়ে আসে আমানুল্লা। ওই গাড়িতে ওঠেন এমপি ও ফয়সল। ওই গাড়ির চালক তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, ৩০ এপ্রিল গাড়িটি বুক করেছিল আমানুল্লা। ১৩ মে বিকেল চারটে নাগাদ তিনি ফয়সলকে নিউটাউনের ওই মলের কাছে ছেড়ে আসেন। পরে আবার আমানুল্লা ও সিয়ামকে নিয়ে ওই এলাকায় যান।
তদন্তকারীরা আরও জানাচ্ছেন, এরপর এমপি সহ সবাই নিউটাউনের ওই আবাসনের ফ্ল্যাটে ফিরে আসেন। সেখানেই ছিলেন সিলিস্তা। তাঁর সামনেই খুন পর্ব সম্পূর্ণ করা হয়। ওই গাড়ির চালক তদন্তকারীদের আরও জানিয়েছেন, ১৪মে আমানুল্লা ও জিহাদ একটি ট্রলি ব্যাগ নিয়ে তাঁর গাড়িতে চড়ে ফের ওই মলের কাছে আসে। সিআইডি জেনেছে, সেখানে সিয়াম তাদের সঙ্গে দেখা করে ওই ট্রলি ব্যাগ এবং এমপি’র মোবাইল নিজের হেফাজতে নেয়। সঙ্গে আনা একটি ব্লিচিং পাউডারের প্যাকেট আমানুল্লাকে দিয়েছিল সিয়াম। সিআইডি জেনেছে, ১৫ তারিখ আমানুল্লা ও সিরিস্তা সকাল ১০টা নাগাদ ট্রলি ব্যাগ সঙ্গে নিয়ে একটি অ্যাপ ক্যাব ধরে সোজা কলকাতা বিমানবন্দরে এসে ফ্লাইট ধরে বাংলাদেশ পালান। ফ্ল্যাটে থাকা দেহাংশ টুকরো করে অন্য ট্রলি ব্যাগে ভরে ফয়সল ও মুস্তাফিজুর। ১৯ তারিখ ওই ব্যাগ নিয়ে তারা কলকাতা ছাড়ে। মাঝে দেহাংশ ভর্তি ব্যাগ উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর এলাকায় এক ব্যক্তির হাতে তুলে দেয়। সেই ব্যক্তি সিয়াম বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। সিলাস্তি রহমান।