মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
শনিবার থেকেই অবশ্য এর প্রভাব টের পাওয়া যাবে। যদিও মূলত উপকূলবর্তী এলাকায়। সেদিন পূর্ব মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনার কোথাও কোথাও ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। সঙ্গে ভারী বৃষ্টি। রবিবার ওই তিনটি জেলা ছাড়াও কলকাতা ও হাওড়াতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে হুগলি, নদীয়া, পশ্চিম মেদিনীপুরে। সোমবার কলকাতা এবং দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, নদীয়া, হুগলি ও হাওড়ায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হতে পারে ওইদিন। সঙ্গে জোরালো ঝোড়ো হাওয়া। তবে কলকাতা এবং দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে সেদিন হাওয়ার গতিবেগ কিছুটা কমতে পারে।
২০২০ সালের ২০ মে বিধ্বংসী খুব তীব্র ঘূর্ণিঝড় ‘উম-পুন’ আছড়ে পড়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলে। তার আগে ২০০৯ সালে প্রায় একই সময়ে এসেছিল তীব্র ঘূর্ণিঝড় ‘আইলা’। পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূলে সেটি আছড়ে পড়ে। এই দুই ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কায় রাজ্যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি হয়েছিল। ‘রেমাল’ আসার খবরে সেই আতঙ্ক ফিরে আসছে উপকূলবাসীদের মনে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের যে গতিপথ দেখিয়েছে, তাতে এর কেন্দ্রস্থল বা ‘আই’ বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করবে বলে ইঙ্গিত মিলছে। তাহলেও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে ঘুর্ণিঝড়ের বেশ প্রভাব পড়বে বলে দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সোমনাথ দত্ত জানিয়েছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলে এর প্রভাব বেশি হবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে এদিন সুস্পষ্ট নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। এটি উত্তর-পূর্ব অভিমুখে অগ্রসর হয়ে আজ, শুক্রবার মধ্য বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। শনিবার সকালে আরও শক্তিশালী হয়ে এটি পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এরপর সেটি অভিমুখ সামান্য পরিবর্তন করবে। উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আরও শক্তিশালী তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসেবে রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ চলে আসবে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূলের কাছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পূর্ব দিকে অভিমুখ বজায় রাখলে অনেকটা দূরে বাংলাদেশ-মায়ানমার উপকূলের দিকে চলে যেত। এতে দক্ষিণবঙ্গে প্রভাব তুলনামূলকভাবে কম হতো। কিন্তু তা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।