মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
সিআইডি জেনেছে, শাহিন ও আনার যৌথভাবে একাধিক ‘কারবার’ করতেন। তাঁরা সোনা, হুন্ডি-হাওলা, নারী ও মাদক পাচার সহ নানা অবৈধ কারবারে জড়িত। অভিযোগ, আনার কিছুদিন আগে হুন্ডি কারবারে শাহিনের ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন। তা নিয়ে দু’জনের বিরোধ চরমে উঠলে টাকা মিটিয়ে সমঝোতা করে নেন এমপি। এরই মধ্যে আবার বেআইনি কারবারের দখল নিয়ে দু’জনের শত্রুতা শুরু হয়। তদন্তে উঠে এসেছে, সম্প্রতি সাড়ে চার কোটি টাকা শাহিনকে ধার দিয়েছিলেন আনার। ফেরত চাইলে শাহিন সাফ জানান, টাকা দেব না। তা নিয়ে বিবাদ চরমে উঠলে শাহিন প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি দেন এমপিকে। কীভাবে টাকা ফেরত নিতে হয়, তা জানিয়ে হুমকি দেন আনারও।
সিআইডি তদন্তে উঠে এসেছে, এমপি কবে কলকাতায় আসছেন, তার খোঁজ নিতে বান্ধবী সিলিস্তা রহমানকে ‘কাজে’ লাগান শাহিন। জানতে পারেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে ১২ মে কলকাতা যাবেন এমপি। তখনই নিজের ওই আত্মীয় তথা নিষিদ্ধ ঘোষিত পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির ‘হিটম্যান’ আমানকে বরাত দেন শাহিন। গত ৩০ এপ্রিল বান্ধবী ও আমানুল্লাকে নিয়ে ঢাকা থেকে কলকাতায় আসেন শাহিন। পরিচিত এক দালালের মাধ্যমে আমেরিকান পাসপোর্ট দেখিয়ে নিউটাউনের ওই ফ্ল্যাটটি ২৫ এপ্রিল থেকে ভাড়া নিয়ে রেখেছিলেন তিনি। এরপর সেখানে আনা হয় ভাড়াটে খুনি মুস্তাফিজুর, ফয়জল, সিয়াম ও জিহাদকে। বেআইনি ভাবে ভারতে ঢুকে মুম্বইয়ে বসবাসকারী জিহাদ ৭ মে সিয়ামকে নিয়ে দেখা করে শাহিনের সঙ্গে। প্ল্যান চূড়ান্ত করে ১০ তারিখ শাহিন বাংলাদেশ ফিরলেও, তাঁর বান্ধবী থেকে যান। ১৩ মে আনারকে নিয়ে আসা হয় নিউটাউনে। সেখান থেকে তাঁকে অন্য একটি গাড়িতে এমপিকে নিউটাউনের ফ্ল্যাটে নিয়ে আসে আমানুল্লা। সেখানে তাঁকে প্রথমে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করা হয়। এরপর মাংস কাটার চপার দিয়ে দেহ টুকরো করে জিহাদ। তিনটি ব্যাগে দেহাংশ ভরে গাড়িতে চাপায় ফয়জল ও মুস্তাফিজুর। সিয়াম ও আর এক অভিযুক্ত সেই দেহাংশ কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেয়। সেই দেহাংশের খোঁজে সিআইডি ভাঙড়ের পোলেরহাট এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে বলে খবর।