মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
ডিবি প্রধান আরও বলেন, খুনের পরিকল্পনা এবং তা রূপায়ন করার টিমে আখতারুজ্জামান তাঁর বান্ধবী আরেক বাংলাদেশি সিলিস্তা রহমানকেও নিয়েছিল। এমপি’কে ‘ভুলিয়ে-ভালিয়ে’ নিউটাউনের আবাসনে নিয়ে আসার জন্য সিলিস্তাকে ‘হানিট্র্যাপ’ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। গত ৩০ এপ্রিল আখতারুজ্জামান তাঁর বান্ধবী এবং আমানকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতায় যান। জিহাদ ও সিয়াম তখন কলকাতাতেই ছিল। ১০ মে আখতারুজ্জামান বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার পরেরদিন দুই দুষ্কৃতী ফয়সল শাজি ও মুস্তাফিজুর কলকাতায় যায়। বাংলাদেশের গোয়েন্দা প্রধানের বক্তব্য, খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে আমান, মুস্তাফিজুর ও ফয়সলকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিলিস্তা সহ বাকি তিনজনের খোঁজ দু’পারেই চলছে। গোটা ঘটনার পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহিন গত ১৮ মে কলকাতা থেকে কাঠমান্ডু এরপর ২১ তারিখ সেখান থেকে দুবাই হয়ে পরেরদিন আমেরিকায় উড়ে গিয়েছে। বাংলাদেশ পুলিস তাঁর নিউইয়র্কের ব্রুকলিনের ঠিকানা পেয়েছে। তাঁর নাগাল পেতে ইন্টারপোলের সাহায্য নিচ্ছে ঢাকা। এই পর্বেই বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এমপি হত্যাকাণ্ডে ভারতের কেউ যুক্ত, এমন তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। ঘটনায় যুক্তরা সবাই বাংলাদেশি। মূল ষড়যন্ত্রকারী আখতারুজ্জামান শাহিনের জন্ম বাংলাদেশে হলেও, এখন সে মার্কিন প্রবাসী। এরই মধ্যে আখতারুজ্জামানের দাদা ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পুরসভার মেয়র শহিদুজ্জামান সেলিম জানিয়েছেন, দোষ করলে অপরাধীর শাস্তি হবেই। আইন আইনের পথেই চলবে। এদিকে আনোয়ারুল আজিম আনার খুনের ঘটনার পিছনে হাওলা-হুণ্ডি, অস্ত্র কারবার, নারী ও সোনা পাচার সিন্ডিকেটের গোলমালের বিষয়টি সামনে এসেছে। আনোয়ারুলের এহেন কর্মকাণ্ড জেনেও কেন তাঁকে এমপি টিকিট দেওয়া হয়েছিল? জবাবে আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়ুদুল কাদের বলেন, সে (আনোয়ারুল) কী ছিল, সেটা বড় কথা নয়। জনপ্রিয়তা দেখেই তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল।
অপরদিকে, এমপি খুনের তদন্তে কলকাতা থেকে দুই তদন্তকারী পুলিস আধিকারিক এদিন সন্ধ্যায় ঢাকায় পৌঁছেছেন। খুনের ঘটনার পর এমপি’র মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডোরিন শের-ই-বাংলা নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। কলকাতার তদন্তকারীরা এদিন সেখানে যান এবং ডিবি প্রধানের সঙ্গে দেখা করেন। খুনের ঘটনায় ডিবি’র হেফাজতে থাকা তিনজনকে প্রয়োজনে জেরা করতে পারেন তাঁরা।