নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: লোকসভা নির্বাচনে ফের শিরোনামে নন্দীগ্রাম। আগামী শনিবার রাজ্যের একাধিক লোকসভা আসনের পাশাপাশি তমলুক কেন্দ্রেও নির্বাচন রয়েছে। আর সেই তমলুক কেন্দ্রেরই মধ্যে রয়েছে নন্দীগ্রাম বিধানসভা। যাকে ঘিরে অতীতে রাজ্যে একাধিক ঘটনা ঘটে গিয়েছে। সেই নন্দীগ্রামেই ভোটের আগে অশান্তিকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হল। আজ, বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে নন্দীগ্রামে। সূত্রের খবর, গতকাল, বুধবার গভীর রাতে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় এক মহিলা বিজেপি কর্মী খুন হন। মৃতার নাম রথীরানী আড়ি(৩৮)। সেই সঙ্গেই আরও কয়েকজন বিজেপি কর্মী ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হন। যাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হল নন্দীগ্রাম। বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। নন্দীগ্রাম বাজারেও প্রতিবাদ মিছিল বের করে তাঁরা। নন্দীগ্রামে বনধ্-এর ডাক দেয় গেরুয়া শিবির। বিজেপির দাবি, গতকাল, বুধবার রাতে বুথ পাহাড়া দেওয়ার সময় রথীরানী ও দলীয় কর্মীদের উপর আক্রমণ করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। রথীরানী দেবীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পাল জানিয়েছেন, ‘রাতের অন্ধকারে আমাদের কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। তাতে এক মহিলা কর্মী খুন হন।’ যদিও বিজেপির দাবি অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসক দল। তৃণমূল নেতা স্বদেশ দাস জানান, ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। পারিবারিক বিবাদের জেরে এই ঘটনা। তাতে রাজনৈতিক রং লাগাচ্ছে বিজেপি।’ দলীয় কর্মী খুনের ঘটনা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারির দাবিতে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে নন্দীগ্রামে। গাছের গুঁড়ি ফেলে, রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রচুর পুলিস ও র‌্যাফ মোতায়েন করা হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে দেখে তড়িঘড়ি বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক বসে পুলিস। সেই বৈঠকে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় খুনের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেয় পুলিস। তারপরেই অবরোধ ও  বনধ্ সাময়িক প্রত্যাহার করার কথা জানান বিজেপি নেতা মেঘনাদ পাল।