প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
এর পাশাপাশি উদ্বেগের ছবিও রয়েছে। সিবিএসই’র দশম এবং দ্বাদশে পাশের হারে দেশের মধ্যে একেবারে নীচের দিকে রয়েছে ভুবনেশ্বর রিজিয়ন। এই আঞ্চলিক বিভাগের অন্তর্গত কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গের স্কুলগুলি। এছাড়াও রয়েছে ওড়িশা এবং ছত্তিশগড়। দশম শ্রেণিতে পাশের হারে ভুবনেশ্বর ১৭টি রিজিয়নের মধ্যে রয়েছে ত্রয়োদশ বা ১৩তম স্থানে। এখানে মোট পাশের হার ৯২.০৩ শতাংশ। সেখানে প্রথম স্থানে থাকা ত্রিবান্দ্রম রিজিয়নে পাশের হার ৯৯.৭৫ শতাংশ। আর দ্বাদশ শ্রেণির পাশের হারেও ভুবনেশ্বরের স্থান ১৩ নম্বরে। পাশের হার ৮৩.৩৪ শতাংশ। প্রথম স্থানে থাকা ত্রিবান্দ্রমের পাশের হার ৯৯.৯১ শতাংশ।
এক্ষেত্রে প্রশ্ন ওঠে, রাজ্যের সরকারি বাংলা মাধ্যম স্কুলগুলি থেকে মুখ ফেরানো, হাজার হাজার টাকা দিয়ে বেসরকারি স্কুলে ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের এই হাল কেন হবে? অবশ্য দেখা যাচ্ছে, একেবারে কেন্দ্রীয় স্কুলগুলিতে জওহর নবোদয় বিদ্যালয় (দ্বাদশে ৯৮.৯০ শতাংশ, দশমে ৯৯.০৯ শতাংশ), কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলিতে (দ্বাদশে ৯৮.৮১ শতাংশ, দশমে ৯৯.০৯ শতাংশ) পাশের হার একেবারে শীর্ষে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা রাজ্য সরকারি এবং রাজ্য সরকার পোষিত স্কুলগুলির। পাশের হারে তারা একেবারে নীচের দিকে। এই ধরনের স্কুল অবশ্য পশ্চিমবঙ্গে নেই। এবছর ২২ লক্ষ ৩৮ হাজার ৮২৭ জন ছাত্রছাত্রী সিবিএসই দশম শ্রেণির পরীক্ষায় বসে। পাশ করেছে ২০ লক্ষ ৯৫ হাজার ৪৬৭ জন। পাশের হার ৯৩.৬০ শতাংশ। আর দ্বাদশের পরীক্ষায় বসেছিলেন ১৬ লক্ষ ২১ হাজার ২২৪ জন প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে পাশ করেছেন ১৪ লক্ষ ২৬ হাজার ৪২০ জন। পাশের হার ৮৭.৯৮ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় পাশের হার বেড়েছে ০.৬৫ শতাংশ। দিল্লি পাবলিক স্কুলের ছাত্রী সাগরিকা সিনহা পেয়েছেন ৯৮.৮ শতাংশ নম্বর। সাউথ পয়েন্ট স্কুলে কলা বিভাগে প্রথম হয়েছেন জাগরী বিশ্বাস। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৯৭.৭৫ শতাংশ।