প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
রাজ্যের শাসকদলের অভিযোগ যে অমূলক নয়, তার প্রমাণ মিলেছে এদিন সন্ধ্যায়। সন্দেশখালির বেড়মজুর-১ নম্বর পঞ্চায়েতের বাগদিপাড়ায় ফের আগুন জ্বালিয়ে, রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি। মহিলাদের সামনে রেখে এই অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরের পুরুষ কর্মী-সমর্থকরা। পরে পুলিস গিয়ে রাস্তা অবরোধমুক্ত করে। বিজেপির অভিযোগ, রবিবার রাত থেকে এলাকায় ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিস। দলের নিরীহ কর্মী-সমর্থকদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তার প্রতিবাদে মহিলারা অবরোধ-বিক্ষোভ করছিলেন। সেখানেও পুলিস তাদের হেনস্তা করেছে।
কানমারির যে স্কুলে বিজেপির গোপন বৈঠক নিয়ে আলোড়ন শুরু হয়েছে, সেটির নাম পূর্ব চুঁচুড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। এদিন বিজেপি সেখানে বৈঠক করল কী করে? আগাম অনুমতি কি নেওয়া ছিল? প্রধান শিক্ষক অপূর্ব মণ্ডল অবশ্য জবাবে বলেছেন, ‘কোনও রাজনৈতিক দলের তরফেই স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে বৈঠকের জন্য অনুমতি চাওয়া হয়নি। তাছাড়া গত ২২ এপ্রিল থেকে গরমের ছুটি চলছে। আমি বাড়িতে রয়েছি। আমার কাছেও কেউ কোনও অনুমতি চায়নি। স্কুলের একটি চাবি থাকে প্যারা টিচার ভূপাল দলুইয়ের কাছে। তাঁর থেকে চাবি পেয়েছে, নাকি জোর করে স্কুল খোলা হয়েছে, তা দেখতে হবে।’ তবে ওই প্যারা টিচার দাবি করেছেন, স্কুলের ভিতরে নয়, মাঠে বৈঠক করেছে বিজেপি। অপূর্ববাবু ও ভূপালবাবুকে আজ, মঙ্গলবার সকালে থানায় ডেকে পাঠিয়েছে পুলিস। বসিরহাট পুলিস জেলার সুপার হোসেন মেহেদি রহমান জানিয়েছেন, ‘অনুমতি ছাড়াই ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিজেপি বৈঠক করছিল। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের হয়। ওখানে অসমের লোকজনও ছিলেন। একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে গোটা ঘটনার ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়েছে।’