প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
আজ, সোমবার চতুর্থ দফার নির্বাচন। কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টা আগে মোদি-মমতার বাগযুদ্ধে তপ্ত হয়ে রইল বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র। ভাটপাড়ায় মোদির ভাষণ এবং অভিযোগের পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য আমডাঙার সাধনপুর স্কুল ময়দানের মঞ্চকেই বেছে নেন মমতা। তিনি বক্তব্য শুরুই করেন মোদিকে ‘বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী’, ‘এক্স প্রাইম মিনিস্টার’ সম্বোধন করে। এমনকী অত্যাচার, বঞ্চনা, লাঞ্ছনার জন্য মোদির গায়ে ‘নিষ্ঠুর প্রধানমন্ত্রী’ তকমাও সেঁটে দেন মমতা। বলেন, ‘মোদি নিজের প্রচারের ঘণ্টা বাজাতে বাজাতে বিজেপি সরকারের মৃত্যুঘণ্টা বেজে গিয়েছে। একটা করে ভোট আসছে, বিজেপি কাঁদছে, আর রেগে যাচ্ছে। শেষ তিন দফার নির্বাচনে বিজেপি এপাশ, ওপাশ, ধপাস হয়ে গিয়েছে। ক্র্যাশ করে গিয়েছে শেয়ার মাকের্ট। লগ্নির টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছেন লগ্নিকারীরা।’
দেশের ৫৪৩টি লোকসভা আসনের মধ্যে অর্ধেক আসনে ইতিমধ্যে ভোট হয়ে গিয়েছে। আর প্রত্যেক দফায় আগের নির্বাচনের তুলনায় ভোটের হার কমছে উল্লেখযোগ্যভাবে। তাতেই হাসি চওড়া হচ্ছে মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’র। এবং আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তার রেশ উত্তর ২৪ পরগনা থেকে হাওড়া—সর্বত্র দেখা গিয়েছে। উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত আমতার জনসভাতেও মমতার প্রত্যয়ী বার্তা, ‘খেলা হবে ফোর টোয়েন্টি বিজেপির বিরুদ্ধে।’
ঘটনাচক্রে আমডাঙায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস বেশি। সেখানে দাঁড়িয়ে মোদিকে মমতার চ্যালেঞ্জ, ‘আপনি বলেছেন আমরা নাকি সংখ্যালঘুদের রিজার্ভেশন দিয়ে দেব তফসিলিদের কোটা ছেড়ে! আপনার বুকের পাটা থাকলে সংখ্যালঘু প্রভাবিত এলাকায় দাঁড়িয়ে কথাটা বলুন। ১০ বছর আগে তফসিলিদের ১৭ শতাংশ সংরক্ষণ বাংলায় হয়েছে। তার জন্য সাধারণের কোটা বাড়িয়েছি, এক শতাংশও কাটা হয়নি।’ জনগণকে সাক্ষী রেখে মমতা বলেন, তফসিলি জাতি-উপজাতি, ওবিসি, দলিত, হিন্দু, মুসলিম সবাই বাংলায় ভালো আছেন। আরও ভালো থাকবেন। তাই মোদির গ্যারান্টি ফুৎকারে উড়িয়ে দিলাম।
এদিন মমতা যখন বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শপথ নিচ্ছেন, একযোগে দোয়া-শঙ্খ-উলুধ্বনিতে মুখরিত হয়েছে আমডাঙা। আম জনতার সেই সঙ্গতে আক্রমণের সুর আরও চড়িয়েছেন বাংলার অগ্নিকন্যা। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মোদি যে ‘গ্যারান্টি’ দিয়েছেন, তার কড়া সমালোচনা করেছেন। বলেছেন, ‘যাঁদের ভোটে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, এখন সেই মতুয়াদের অধিকার কাড়তে এসেছেন? আপনার লজ্জা করে না! আমার মতুয়া ভাই-বোনদের গায়ে হাত দিলে আমার গায়ে হাত দেওয়া হবে, এটা মনে রাখবেন।’ সর্বশেষে প্রধানমন্ত্রীকে মমতার হুঙ্কার, ‘মোদিবাবু, আপনার অন্যায়ের খাতা যখন জনগণ খুলতে শুরু করবে, তখন কী হবে!’