প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
এদিন হুগলির সাহাগঞ্জ এবং হাওড়ার জগৎবল্লভপুরে নির্বাচনী সভা করেন মমতা। দু’জায়গাতেই রাজভবন কাণ্ড নিয়ে তিনি সরব হন। কটাক্ষের সুর ছিল তাঁর গলায়—‘বিরাট অট্টালিকায় থাকেন। কখনও সখনও তাঁর দেখা মেলে। সংবিধানকে শ্রদ্ধা করি। মাননীয় মহোদয় উনি। তবে মহোদয়ের একরম ঘটনা অনেক দিন ধরে জানি। উনি মহামান্য, তাই কিছু বলতে পারছি না!’ শ্লীলতাহানির অভিযোগ সামনে আসার পর পারিবারিক কাজে নিজের রাজ্য কেরল গিয়েছিলেন রাজ্যপাল বোস। তবে যাওয়ার আগে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে মিথ্যা এবং রাজনৈতিকভাবে পরিকল্পিত বলেই দাবি করেন। এমনকী অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছ থেকে আইনি পরামর্শ নিচ্ছেন বলে হুমকিও দিয়ে গিয়েছিলেন। কলকাতা ফেরার দিন বিমানবন্দরে রাজ্যপালের হঙ্কার ছিল—‘রাজভবনে দিদিগিরি চলতে দেব না।’ নাম না করলেও, তাঁর নিশানা যে মুখ্যমন্ত্রীর দিকেই ছিল, তা স্পষ্ট।
তার প্রত্যাঘাত এদিন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, ‘এসেই বললেন, দিদি, দিদি শুনব না। শুনতে হবে না। দাদা ও দাদা শুনলেই হবে। কিন্তু আপনার মতো লোকের কাছে যেতে মহিলারা এখন ভয় পাচ্ছে। শুধু একটা মেয়ে নয়, অনেকের সর্বনাশ হয়েছে। এখনই পদত্যাগ করুন।’ এরপরই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের ঘোষণা—‘আমাকেও যদি কথা বলতে আপনার ওখানে ডাকেন, তাহলে আমি আর যাব না। আপনার যা কীর্তি-কেলেঙ্কারি, আপনার পাশে বসাও পাপ! আমি দরকারে রাস্তার ফুটপাতে দাঁড়িয়ে কথা বলব, কিন্তু রাজভবন আর নয়।’ তিনি সাফ জানিয়েছেন, একটা পেন ড্রাইভ পেয়েছি। তাতে রাজভবনের ফুটেজ রয়েছে। শুক্রবারই কলকাতা পুলিস জানিয়েছিল, তাদের হাতে যে ফুটেজ এসেছে, তাতে ঘটনার দিন ওই মহিলা অস্থায়ী কর্মীকে কাঁদতে কাঁদতে বের হতে দেখা যাচ্ছে। তার কান্নার ‘কারণ’ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।