বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
সূত্রের খবর, সমঝোতার জট কেবলমাত্র ফরওয়ার্ড ব্লকের কোটার পুরুলিয়া আসনেই আটকে নেই। ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্ব এদিনও সাফ জানিয়েছে যে, ওই আসনটি কংগ্রেসের জন্য ছেড়ে দেওয়ার রাস্তায় তারা হাঁটবে না। তাদের কোটার তিনটি আসন পুরুলিয়া, কোচবিহার এবং বারাসতের জন্য তারা ইতিমধ্যেই যথাক্রমে বীরসিং মাহাত, গোবিন্দ রায় ও হরিপদ বিশ্বাসের নাম চূড়ান্ত করে বিমানবাবুর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে। তবে সিপিএমের তরফে তাদের বোঝানোর কাজ চালানো চলছে। অন্যদিকে, সমঝোতার পক্ষপাতী হলেও তাদের কোটার বসিরহাট আসনের দিকে নজর দেওয়ায় কংগ্রেসের উপর খুশি নয় সিপিআই। মঙ্গলবার দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে নেতৃত্ব ঠিক করেছে, তারাও তাদের কোটার তিনটি আসনেই লড়বে। বসিরহাটে পল্লব সেনগুপ্ত, ঘাটালে তপন গঙ্গোপাধ্যায় এবং মেদিনীপুরে বিপ্লব ভট্টকে দল প্রার্থী করতে চায়। যদিও বিপ্লববাবু ও তপনবাবুর মনোনয়ন নিয়ে স্থানীয় স্তরে দলের ভিতরে কিছু আপত্তি উঠেছে। সেই গোলমাল সামাল দেওয়ার দাবি করা হয়েছে সিপিআইয়ের তরফে। অন্যদিকে, সোমেনবাবুর সঙ্গে ফোনে কথোপকথনে দলের রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় মুখোমুখি আলোচনার প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন। বসিরহাটের বদলে মেদিনীপুর কেন্দ্রটি সিপিআই দিতে রাজি কি না, তা যাচাই করতে চান সোমেনবাবুরা। ফ্রন্টের অপর শরিক আরএসপি’র ক্ষেত্রে অবশ্য সমঝোতার ইস্যুতে তেমন কোনও সমস্যা নেই। কারণ, আরএসপি তাদের কোটার চারটির মধ্যে ইতিমধ্যেই বিরোধী ঐক্যের স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ বহরমপুর আসনটি কংগ্রেসকে ছাড়তে সম্মত হয়েছে।
এদিকে সিপিএম শিবিরের খবর, তারা তাদের ভাগের যে সব আসন কংগ্রেসের জন্য ভেবে রেখেছিল, তার সব কটি মনঃপূত নয় সোমেনবাবুদের। তাঁরা দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে প্রতিনিধিত্বমূলক রফা সূত্রের দাবি তুলে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আসন দাবি করেছে। এর মধ্যে কিছু আসনের ক্ষেত্রে ইতিবাচক সাড়া দিলেও সব দাবি মানা সম্ভব নয় বলে বার্তা দেওয়ায় জট কাটেনি এদিন রাত পর্যন্ত। সেই সঙ্গে কংগ্রেসের তরফে সিপিএম নেতৃত্বকে অনুরোধ জানানো হয়েছে, ঐক্যের স্বার্থে ১৬ তারিখ পর্যন্ত তালিকা প্রকাশ স্থগিত রাখুক বামেরা। ওইদিন দিল্লি থেকে তাদেরও তালিকা ঘোষণা হওয়ার কথা। যদিও ফ্রন্ট শরিকরা এই যুক্তিকে বেশি গুরুত্ব দিতে নারাজ।