বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর সুব্রতবাবু সাংবাদিকদের বলেন, আমি দলের নির্ভীক সৈনিক। দল যে দায়িত্ব দিয়েছে, তা আমি অক্ষরে অক্ষরে পালন করে এসেছি। ভবিষ্যতেও করব। আগামীকাল মমতা সব প্রার্থীকে নিয়ে বৈঠক করবেন। তারপর বাঁকুড়ার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে সেখানে চলে যাব। সেখানে ভোট ৬ মে। তার আগে মানুষের আর্শীবাদ চাইব। আমার বিশ্বাস, মানুষ আমাকে ফেরাবে না। আমি পঞ্চায়েত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী হিসেবে গ্রামে গ্রামে কাজ করেছি। নলবাহিত পানীয় জল সহ নাগরিক পরিষেবা দিয়েছি। তাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।
উল্লেখ্য, এই কেন্দ্রের সংসদ সদস্য ছিলেন অভিনেত্রী মুনমুন সেন। এবার তাঁকে আসানসোলে প্রার্থী করেছেন মমতা। আর মুনমুন সেনের আগের কেন্দ্র থেকে সুব্রতবাবুকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পাঠিয়েছেন। অবশ্য ২০১৪ সালে তিনি বেশ কিছুদিন বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন। সে সময় প্রচারের প্রধান সেনাপতি ছিলেন সুব্রতবাবু। এর আগে ২০০৯ সালে বাঁকুড়ায় তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন। ফলে সেখানকার মাটি-ভুগোল সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের চেনা। সেই চেনা মাটিতেই তৃণমূলের ঘাসফুল ফোটাতে এবার মমতা পাঠালেন বর্ষীয়ান এই নেতাকে।
পরিষদীয় রাজনীতিতে দক্ষ এই বিধায়ক তথা একজন সফল মন্ত্রীকে কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেছে নিলেন দিল্লির জন্য, সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবারের লক্ষ্য হল ‘দিল্লি চলো’। গোটা দেশের বিরোধী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে দিল্লিতে বিকল্প সরকার গঠনের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। সেই পটভূমিতে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মতো একজন পরিষদীয় রাজনীতিতে অত্যন্ত দক্ষ ব্যক্তিত্বকে সংসদে কাজে লাগাতে চান তিনি।