বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
২০১৪ সালের তুলনায় এবার কোন কোন কেন্দ্রে চমক থাকবে, তা নিয়ে একটা কৌতূহল ছিলই বিভিন্ন মহলে। সেই চমক শুরু হল যাদবপুর কেন্দ্র দিয়ে। অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী এবার সেই কেন্দ্র থেকে সংসদে যাওয়ার জন্য লড়বেন। বাকি দলগুলি তাদের প্রার্থী ঘোষণা না করলেও, এবারের ভোটে মিমি যে তৃণমূলের প্রার্থীদের মধ্যে অন্যতম আকর্ষণ হতে চলেছেন, তা বলাই যায়। অপর চমক নুসরত জাহান। বসিরহাটের এই প্রার্থীর নাম বেশ কিছুদিন ধরেই ভাসছিল। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর নাম নিতেই সেই জল্পনার অবসান হল। সিনেমা জগতের কলাকুশলীরা ভোটে দাঁড়াচ্ছেন, এটা অবশ্য নতুন নয়। এছাড়া বড় চমক দিয়েছেন দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হওয়া তৃণমূল এমএলএ সত্যজিৎ বিশ্বাসের স্ত্রী রুপালি বিশ্বাসকে প্রার্থী করে। তাঁকে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন মমতা। রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হলেও, তিনি নিজে কিন্তু সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন। বলা যেতে পারে, রুপালিদেবীই তৃণমূল কংগ্রেসের কনিষ্ঠতম প্রার্থী। মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী ঘোষণা করার সময় বলেন, ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে হতে ওর বয়স হয়ে যাবে। কোনও অসুবিধা হবে না। মিমি, নুসরত এবং রুপালিদেবীদের মতো রাজনীতির বড় ময়দানে একেবারে নতুন বীরবাহা সোরেন (টুডু)। আদিবাসী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি। পেশায় শিক্ষিকা বীরবাহাকে ঝাড়গ্রাম কেন্দ্র থেকে দাঁড় করিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও তাঁর এই প্রার্থী তালিকায় এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের মধ্যে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। এবার সেরকম কয়েকজনকে দিল্লির সংসদ ভবনে তাঁদের কাজ দেখানোর সুযোগ করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেমন করিমপুরের বিধায়ক মহুয়া মৈত্রকে কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন। তাঁকে অবশ্য বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে। নাগরিকপঞ্জির প্রতিবাদে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্য হয়ে অসমে গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন মহুয়াদেবী। তাঁরই করা মামলায় সোশ্যাল মিডিয়ায় কেন্দ্রের নজরদারি করা নিয়ে মুখ পুড়েছিল কেন্দ্রের। লোকসভার টিকিট এসবেরই ‘পুরস্কার’ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। একেবারে নতুন না হলেও, তৃণমূলের হয়ে এই প্রথম লড়বেন গনিখান চৌধুরীর ভাগ্নি মৌসম বেনজির নূর। তিনি লড়বেন মালদহ উত্তর কেন্দ্র থেকে। কংগ্রেসের টিকিটে তিনি ওই কেন্দ্র থেকে দু’বার সাংসদ হয়েছিলেন। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি সরে দাঁড়ানোয় একেবারে দিল্লির সংসদ ভবনে যাওয়ার সুযোগ এসে গেল কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায়ের। গতবারের নির্বাচনে কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের হয়ে দাঁড়িয়ে তৃতীয় হয়েছিলেন। এবার সেই রেকর্ড বদলানোর অপেক্ষায় তিনি। এদের পাশাপাশি ফের একবার সাংসদ হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন মমতাবালা ঠাকুর। বনগাঁ কেন্দ্র থেকে লড়বেন তিনি।