ব্যবসায় বেচাকেনা বেশ ভালো হবে। কাজকর্মে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির আনুকূল্য লাভ ও ভাগ্যোন্নতি। ... বিশদ
জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তৃণমূল নেতা এ কে এম ফারহাদ। তিনি তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনেরও দায়িত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। সম্প্রতি, এক যুবতীর সঙ্গে তাঁর অশ্লীল ভিডিও কলিংয়ের ছবি ভাইরাল হয়। তা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। তৃণমূলের রাজ্য দপ্তরেও এনিয়ে অভিযোগ জমা পড়ে। তারপর দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করা হয়। দলীয় সূত্রে খবর, সব দিক খতিয়ে দেখে ওই তৃণমূল নেতাকে কর্মাধ্যক্ষের পদ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্থায়ী সমিতির সদস্যদের কাছে সেই মোতাবেক নির্দেশও এসে গিয়েছে দলের তরফে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বন ও ভূমি বিভাগের স্থায়ী সমিতিতে ফারহাদ ছাড়াও রয়েছেন আমডাঙার সামিম আরা খাতুন, বসিরহাটের এ টি এম আবদুল্লাহ ও বাগদার ভানুমতী বালা। আরেক সদস্য সন্দেশখালির শিবপ্রসাদ হাজরা এখন জেলে রয়েছেন। তাই জেলা পরিষদের বাকি তিন সদস্য ফারহাদের বিরুদ্ধে অনাস্থাপত্র জমা দিয়েছেন কমিশনারের কাছে। অনাস্থার কারণ হিসেবে তাঁরা অবৈধ কাজকর্ম ও খারাপ ব্যবহারের কথা উল্লেখ করেছেন। সামিম আরা খাতুন বলেন, ‘দলের নির্দেশ মতোই আমি অনাস্থাপত্রে সই করেছি।’ একই বক্তব্য বাগদার ভানুমতী বালার। এ বিষয়ে ফারহাদ বলেন, ‘আমি দলের একনিষ্ঠ কর্মী। আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। আমি নির্দোষ। সেটা প্রমাণ হবে। ২২ অক্টোবর মিটিংয়ের চিঠি পেয়েছি।’ এ বিষয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।