ব্যবসায় বেচাকেনা বেশ ভালো হবে। কাজকর্মে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির আনুকূল্য লাভ ও ভাগ্যোন্নতি। ... বিশদ
সালকিয়ার শীতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ১১০ জন। শিক্ষিকা রয়েছেন পাঁচজন। রোজকার পুঁথিগত পড়াশোনার জীবন থেকে বেরিয়ে স্কুলের মধ্যেই খুদে পড়ুয়াদের নিয়ে একটু অন্যভাবে আনন্দে মেতে উঠতে চেয়েছিলেন শিক্ষিকারা। সে কারণেই এদিন স্কুলে আনন্দমেলার আয়োজন করা হয়েছিল। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়াদের অবশ্য রান্নার দায়িত্ব ছিল না। তারা সাতটি স্টলে প্যাকেটজাত ফাস্টফুড, আচার, সাজসজ্জার বিভিন্ন জিনিস নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসেছিল। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়ারা বাড়ি থেকে বানিয়ে এনেছিল বিভিন্ন লোভনীয় পদ। ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ হয়ে ১৩টি স্টলে তারা বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী বিক্রি করে এদিন। সেখানে মাত্র পাঁচ টাকায় মিলেছে ইডলি, চিকেন, ডিমের পকোড়া, আলু কাবলি। দই বড়ার দাম ছিল ছ’টাকা। আবার ১০ টাকায় চিকেন বাটার ফ্রাই, ফিশ ফিঙ্গারও মিলেছে বেশ কিছু স্টলে। এদিন স্কুলের আনন্দমেলায় অভিভাবকদের পাশাপাশি ভিড় জমিয়েছিলেন স্থানীয়রাও।
খাবার বিক্রি করতে পেরে রীতিমতো খুশি ধ্রুব, বর্ণ, আর্য, সমৃদ্ধ, অনুষ্কা, বৃষ্টিদের মত খুদে পড়ুয়ারা। অভিভাবকদের কথায়, ‘শুধু খাবার তৈরি নয়, কীভাবে তা পরিবেশন করতে হয়, দাম অনুযায়ী কতটা খাবার দিতে হয়, সবটাই ওরা হাতে কলমে শিখেছে এদিন।’ সব মিলিয়ে এদিন রীতিমতো পিকনিকের আনন্দে মেতে উঠেছিল গোটা স্কুল। প্রধান শিক্ষিকা অরুন্ধতী চক্রবর্তী বলেন, ‘অভিভাবকরা যাতে সন্তানদের সরকারি স্কুলে ভর্তি করান, সেটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। পড়াশোনার পাশাপাশি স্বনির্ভরতার শিক্ষাও দিতে চাই আমরা। আনন্দমেলার আয়োজনের পর বোঝা গেল, পড়ুয়াদের মধ্যে কত প্রতিভা লুকিয়ে রয়েছে।’