ব্যবসায় বেচাকেনা বেশ ভালো হবে। কাজকর্মে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির আনুকূল্য লাভ ও ভাগ্যোন্নতি। ... বিশদ
জেলা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ থেকে ২০২২ পর্যন্ত আবাস যোজনা (সফ্ট) প্রকল্পের মাধ্যমে জেলায় প্রায় পাঁচ লক্ষ বাড়ির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। অধিকাংশই সেই টাকা নিয়ে গৃহ নির্মাণ করে ফেললেও এখনও একটা অংশ সেই কাজ শেষ করেনি। তাঁরা এখন আর কোনও টাকা নিতেও চাইছেন না। অনেকে শুরুর দিকে একটি কিস্তির টাকা নিলেও বাকি টাকা আর নিতে আগ্রহ দেখাননি।
এদিকে ওই উপভোক্তারা বাড়ির কাজ শেষ না করলে কেন্দ্রীয় পোর্টালে ‘সব বাড়ি নির্মাণ সম্পন্ন’- এই তথ্য দিতে পারছে না জেলা প্রশাসন। জেলার এক আধিকারিক বলেন, বিভিন্নরকমভাবে চাপ দিয়েও এই উপভোক্তাদের বাড়ি করতে কোনওভাবেই রাজি করানো যাচ্ছে না। ব্লক থেকে তাঁদের কাছে টাকা দেওয়ার জন্য প্রায়ই ছুটে যাচ্ছেন আধিকারিকরা। কিন্তু ওই উপভোক্তাদের কোনও হেলদোল নেই। এই নয় হাজারের মধ্যে কেউ কেউ এমনও রয়েছেন, যাঁরা একটি ইটও এখনও গাঁথেননি। এই প্রকল্প এখন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সরকারের কাছে এখনও এর কোটি কোটি টাকা পড়ে রয়েছে, যা খরচ করা যাচ্ছে না। জেলার তথ্য অনুযায়ী, বাসন্তী এবং সোনারপুর ব্লকে সবচেয়ে বেশি বাড়ি অসম্পূর্ণ হয়ে রয়েছে। সব ব্লকেই কম-বেশি এমন উপভোক্তা রয়েছেন, যাঁরা বাড়ি করতে অনাগ্রহী। কীভাবে তাঁদের রাজি করানো যায়, সেটাই এখন বিশেষ মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনের। তবে ওই উপভোক্তাদের বোঝানোর কাজ চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।