ব্যবসায় বেচাকেনা বেশ ভালো হবে। কাজকর্মে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির আনুকূল্য লাভ ও ভাগ্যোন্নতি। ... বিশদ
কিছুদিন আগেও গ্রামোন্নয়নের কাজকর্ম নিয়ে সব বিডিওকে ডেকে বৈঠক করেছিলেন জেলার পদস্থ আধিকারিকরা। যেসব ব্লক তখন পিছিয়ে ছিল, এবারের বৈঠকে দেখা গেল, এখনও তারা সেই জায়গাতে আছে। এতে অসন্তুষ্ট জেলা প্রশাসনের কর্তারা। তাঁদের মতে, নির্বাচনের আগেই পইপই করে ব্লকগুলিকে বলে দেওয়া হয়েছিল যে, শীঘ্রই টাকা ঢুকে যাবে। সেই মতো কোন কোন কাজ করতে হবে, তা ঠিক করে প্রস্তুত থাকতে। টাকা ঢুকলেই যেন টেন্ডার করে ওয়ার্ক অর্ডার দিয়ে দেওয়া যায়। কিছু কিছু ব্লক সেটা পুঙ্খানুপুঙ্খ মানলেও অনেক ব্লক তা একপ্রকার অমান্য করেছে বলে অভিযোগ। যার ফলে জেলায় পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচের সার্বিক হার অনেকটাই কম।
পয়লা জুলাই পর্যন্ত খরচের নিরিখে কোন ব্লক কোথায় দাঁড়িয়ে, তার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে জেলা প্রশাসন। তাতে দেখা যাচ্ছে, ক্যানিং ২, ডায়মন্ডহারবার ১ এবং ঠাকুরপুকুর মহেশতলা ব্লকের অধীনস্থ গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি এক কোটি টাকাও খরচ করে উঠতে পারেনি। কুলপি, মথুরাপুর ১ এবং কুলতলি ব্লকে এক কোটির সামান্য বেশি খরচ হয়েছে। বাকিরাও যে খুব ভালো জায়গায় রয়েছে, তা নয়। সব মিলিয়ে জেলার ৪৫টি পঞ্চায়েতকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যাদের কাজকর্ম একেবারেই সন্তোষজনক নয়। তাদের দিকে বাড়তি নজর দিতে ব্লক অফিসগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন আধিকারিকরা।
এদিকে, মোট প্রাপ্য টাকার প্রায় অর্ধেক খরচ করে ফেলার নজির গড়েছে সাগর এবং ভাঙড় ১ ব্লক। পাশাপাশি, পঞ্চায়েত সমিতির খরচের ক্ষেত্রেও পাঁচটি ব্লক বাকিদের তুলনায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে। সেগুলি হল মগরাহাট ২, মথুরাপুর ২, বিষ্ণুপুর ১, গোসাবা এবং বাসন্তী। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে এখনও পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত মিলিয়ে ১৯২ কোটি টাকা এসেছে। তার মধ্যে খরচ হয়েছে মাত্র ৪৮ কোটি টাকা। অন্যদিকে, পঞ্চায়েত সমিতিগুলির জন্য ৫৭ কোটি টাকা পাঠানো হলেও খরচ হয়েছে ১১ কোটির মতো।