ব্যবসায় বেচাকেনা বেশ ভালো হবে। কাজকর্মে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির আনুকূল্য লাভ ও ভাগ্যোন্নতি। ... বিশদ
এদিন সকাল থেকে রাজাপুর জগন্নাথ মন্দিরে ভক্তরা উৎসবে মেতে ওঠেন। মন্দির প্রাঙ্গণ ফুল, মালা ও আলোয় সাজিয়ে তোলা হয়। ইসকনের সুসজ্জিত এই রথ দেখতে রাস্তার দু’ ধারে দেশ বিদেশের ভক্তদের অপেক্ষা করতে দেখা যায়। তবে অন্য বছরের তুলনায় এবছর ভিড় তেমন দেখা যায়নি। পুণ্যার্থীরা অনেকেই রথের রশিতে টান দেন।
ইসকনের পাশাপাশি এদিন বিকেলে মায়াপুরের যোগপীঠ থেকে সুসজ্জিত রথ, চৈতন্য মঠে মাসির বাড়ি যায়। তবে প্রাচীন এই রথে বলরাম ও সুভদ্রা থাকেন না। এই রথে থাকেন মহাপ্রভু ও জগন্নাথদেব।ইসকনের জনসংযোগ অধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, ভগবান ও ভক্তের মিলন উৎসব এই রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে এখানে আন্তর্জাতিক রূপ পেয়েছে। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে রথের রশিতে টান দিয়ে অংশগ্রহণ করেছেন। পুরীর জগন্নাথের রথের সঙ্গে সঙ্গে এই সময়ে পশ্চিমবঙ্গের শতাধিক জায়গায় ইসকনের উদ্যোগে রথযাত্রা হচ্ছে। এখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, জেলা সভাধিপতি তারান্নুম সুলতানা মীর, বিধায়ক পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা। এদিন নবদ্বীপেও ধুমধামের সঙ্গে রথযাত্রা উৎসব পালিত হল। রবিবার বিকালে প্রাচীনমায়াপুর বালক সাধুর আশ্রমের জগন্নাথ মন্দিরের রথ বের হয়ে রামকৃষ্ণ মঠ পর্যন্ত আসে। তারপর গৌরাঙ্গ জন্মস্থান মন্দিরে মাসির বাড়িতে পৌঁছয়। অন্যদিকে প্রতাপনগর সুদর্শন মন্দিরের পতিতপাবন জগন্নাথদেবের রথ মন্দির থেকে বের হয়ে কপালিপাড়া সুদর্শন মন্দির মাসির বাড়িতে থাকবে। সেখানে আট দিন থাকার পর পুনরায় নিজ মন্দিরে ফিরে যাবে বিগ্রহ।