উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণায় বিশেষ অগ্রগতি। নতুন কর্মপ্রাপ্তির খবর পেতে পারেন। প্রেম প্রণয় যোগ। ... বিশদ
নিটে ১ হাজার ৫৬৩ জনকে কেন গ্রেস নম্বর দেওয়া হল? এই প্রশ্নই সন্দেহ বাড়িয়েছে তদন্তকারীদের। কারণ, এমন একটি সিদ্ধান্ত প্রয়োগের জন্য সর্বোচ্চ স্তর থেকে অনুমোদন প্রয়োজন। তাই গ্রেস নম্বর পাওয়া পরীক্ষার্থীদের প্রত্যেকের যাবতীয় তথ্য নিয়ে ডেটাবেস তৈরি হচ্ছে। তদন্তে নেমে বিহার পুলিসের ইকনমিক অফেন্স উইং, গুজরাত এবং হরিয়ানা পুলিসের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছে সিবিআই। আর সেখান থেকেই উঠে আসছে একটি বিস্ফোরক সম্ভাবনা—নিট দুর্নীতি চক্রের গ্যাং বা মাস্টারমাইন্ডদের একাংশ কি মধ্যপ্রদেশের ব্যাপম কেলেঙ্কারিতেও যুক্ত ছিল? প্রশ্নের জবাব পেতে চার রাজ্যের পুলিসের কাছ থেকে মোট এক হাজার ফোন নম্বর সংগ্রহ করা হয়েছে। ব্যাপম কাণ্ডে জড়িতদের ফোন নম্বর এবং ঠিকানার সঙ্গে তা মিলিয়ে দেখার কাজ শুরু হচ্ছে। পুলিসের দাবি, উভয় দুর্নীতির ক্ষেত্রেই মোডাস অপারেন্ডি বা অপরাধের রূপরেখা অনেকটা একইরকম।
ইকনমিক অফেন্স উইং অবশ্য ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই দু’টি বিখ্যাত ক্যুরিয়ার সংস্থার এজেন্সিকর্মীদের জেরা করেছে তারা। প্রশ্ন এখনও একাধিক—কোন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বা শিক্ষকরা প্রশ্নপত্র তৈরি করবেন সেই সিদ্ধান্ত কোন কোন আধিকারিক নেন, প্রুফ কারা দেখেন, প্রতি বছর ঘুরেফিরে একই মুখকে প্রশ্নপত্র তৈরি বা প্রুফ দেখার জন্য আনা হচ্ছে কি না? এসব প্রশ্নের উত্তর একমাত্র শিক্ষামন্ত্রক এবং এনটিএ আধিকারিকরাই দিতে পারবেন। তাই তদন্তের অভিমুখ এবার সরকারের অন্দরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।