হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
এদিন চেতলা এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সাধারণ মানুষকে ফুল ও ধন্যবাদ বার্তাবহ কার্ড তুলে দেন তিনি। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণ কলকাতায় জিতেছেন তৃণমূলের মালা রায়। তৃণমূলকে সমর্থন করার জন্য এলাকার মানুষের কাছে পৌঁছে তাদের ধন্যবাদ জানালেন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ফিরহাদ বলেন, মানুষ আছে তৃণমূলের সঙ্গেই। কিন্তু বিজেপির সঙ্গে আছে ইডি, সিবিআই। লোকসভায় পরাজয়ের পর প্রচারে ভেসে থাকার জন্য সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলছে বিজেপি। কিন্তু বাস্তবে তৃণমূল কর্মীরাই বিজেপির হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন।
অন্যদিকে, আগামী ১০ জুলাই রাজ্যের চার কেন্দ্রের উপনির্বাচন নিয়ে এদিন দিনভর প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন তৃণমূলের প্রার্থী ও দলীয় কর্মীরা। মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সুপ্তি পান্ডের সমর্থনে একাধিক ওয়ার্ডে প্রচার করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, লোকসভার ভোটে হেরে বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। তাই এখন ‘সন্ত্রাসের সিম্বল’ বিপ্লব দেবকে বাংলায় পাঠাচ্ছে।
পাশাপাশি বাগদা বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী মধুপর্ণা ঠাকুরের সমর্থনে দেওয়াল লিখন, পোস্টার-ফ্লেক্স টাঙানো, পথসভা, কর্মিসভায় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের দিনভর ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। রাজনীতিতে নবাগতা তৃণমূল প্রার্থীকে এলাকার মানুষের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। পরে দলের এক কর্মী বৈঠকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে কড়া বার্তা দেন সাংসদ পার্থ ভৌমিক। তাঁর বক্তব্য, বাগদা বিধানসভা উপনির্বাচনে কেউ কাঠিবাজি করতে যাবেন না। কাঠিবাজি করলেও তৃণমূল প্রার্থী জিতবেন, কাঠিবাজি না করলেও তৃণমূল প্রার্থী জিতবেন। ফলে তৃণমূলের সব কর্মীরা জয়ের অংশীদার হোন, একসঙ্গে প্রচারের কাজ করুন। জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী কর্মীদের নির্দেশ দেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রার্থীর সমর্থনে দেওয়াল লিখনের কাজ শেষ করে ফেলতে হবে। এদিন কর্মিসভায় হাজির ছিলেন বিশ্বজিৎ দাস, বীণা মণ্ডল প্রমুখ।