হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: ডোমজুড় ডাকাতিকাণ্ডে এবার তিন নম্বর বাইকের খোঁজ করছেন তদন্তকারীরা। সোনার দোকানে দুষ্কৃতীরা দু’টি বাইক চেপে অপারেশন চালিয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল। তবে তদন্ত এগনোর পর বোঝা যাচ্ছে, অপারেশনে ব্যবহার হয়েছিল আরও একটি দু’চাকা। জনাই স্টেশন থেকে সেই বাইক মাল নেওয়ার কাজ করেছে। তদন্ত এগলেও দিনেদুপুরে ডোমজুড়ের সোনার দোকানে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। দু’টি বাইকে চার দুষ্কৃতী এসে প্রায় কোটি টাকার সোনা লুট করে। ওই এলাকার একাধিক সিসিটিভি ফুটেজে দুরন্ত গতিতে ছুটে যাওয়া বাইক দু’টির ছবিও ধরা আছে। পরে সেই বাইক উদ্ধারও হয় জনাই স্টেশনের কাছের একটি পার্কিং এরিয়া থেকে। স্পেশাল ইনভেস্টিগেটিভ টিম(সিট) তা উদ্ধার করে। তদন্তে উঠে আসে, পুলিসের নজর এড়াতে লোকাল ট্রেনের রুটকে এক্সিট হিসেবে বেছে নিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। উদ্দেশ্য ছিল, ভিড়ে মিশে বিহার পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়া। এই তথ্য উঠে আসার পর এখন আর একটি বাইকের উপস্থিতিও খুঁজে পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। ডাকাতির মাল পাচারের কাজে তা ব্যবহার হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের অনুমান, জনাই স্টেশনের কাছে তৃতীয় বাইকে অপেক্ষা করছিল কেরিয়ার। ডাকাতির পর চার দুষ্কৃতী তৃতীয় বাইকে থাকা ব্যক্তির হাতে মাল দিয়ে চম্পট দেয়। কারণ, মাঝপথে পুলিসের হাতে ধরা পড়লেও যাতে ডাকাতির মাল হাতছাড়া না হয় তা নিশ্চিত করতে তৃতীয় বাইক রাখা হয়েছিল। আপাতত সেই বাইকটির খোঁজ করছেন তদন্তকারীরা। মাল নিয়ে কোন রাস্তা দিয়ে সেটি পালিয়েছে তারও খোঁজ চলছে। এর হদিশ মিললেই রহস্যের অনেকটা কিনারা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তদন্তকারীদের দাবি, তদন্তের অগ্রগতি হয়েছে। দ্রুত ডাকাতদল ধরা পড়বে।
