হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাতে বৈদ্যবাটি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের একটি নির্জন স্থানে দীপঙ্কর কুণ্ডুকে গুরুতর জখম অবস্থায় পুলিস উদ্ধার করে। পরের দিন কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, ওই যুবক পেশায় সিকিউরিটি গার্ড। তিনি স্ত্রী ও ছ’বছরের ছেলেকে নিয়ে বৈদ্যবাটির ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে থাকতেন। তাঁর স্ত্রী জ্যোতি কুণ্ডুর সঙ্গে প্রতিবেশী যুবক ঋজু মাঝির পরকীয়ার সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। অভিযোগ, এরই জেরে দীপঙ্করকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করে স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিক। গত শুক্রবার দু’জনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস। তারপরেই এই নৃশংস খুনের কার্যকারণ অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে তদন্তকারীদের দাবি। তবে খুনের সময় এই দু’জনের বাইরে আর কেউ ছিল কি না, এ নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। চন্দননগর কমিশনারেটের এক অফিসার বলেন, দীপঙ্করের শরীরে প্রায় ৮০টি সেলাই পড়েছিল। অর্থাৎ তাঁকে ব্যাপকভাবে কোপানো হয়েছে। ঋজুর তুলনায় দীপঙ্করের শরীর অনেক বেশি শক্তপোক্ত ছিল। ফলে জ্যোতি ও ঋজু দু’জন মিলে দীপঙ্করকে কব্জা করতে পেরেছিল কি না, এই প্রশ্নেই খটকা থেকে গিয়েছে।
এই ঘটনায় আরও একটি বিষয় নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তা হল, খুন কোথায় করা হয়েছিল। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকেল থেকে সন্ধ্যা, এই সময়ের মধ্যেই দীপঙ্করের উপর হামলা চালানো হয়েছে। কিন্তু তা বৈদ্যবাটির ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভাড়া বাড়িতে হয়েছে, নাকি ৮ নম্বর ওয়ার্ডে যেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় দীপঙ্করকে পাওয়া গিয়েছিল, তা নিয়ে পুলিস মুখ খুলতে চাইছে না। তবে হামলা যেখানেই হোক, সেখানে জ্যোতি ও ঋজুর সঙ্গে আরও কেউ ছিল, এ ব্যাপারে নিশ্চিত পুলিসের একাংশ। চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিস দাবি করেছে, এই খুনের ঘটনার দ্রুত পুনর্নির্মাণ করা হবে। দফায় দফায় ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সত্য ঘটনা শীঘ্রই প্রকাশ্যে আসবে।