মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী বলেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। ইতিমধ্যেই কন্ট্রোল রুম (৬২৯২২-৩২৮৭০) খোলা হয়েছে। আমরা বিপর্যয় মোকাবিলা টিমকে প্রস্তুত থাকতে বলেছি। একসঙ্গে আট জায়গায় অপারেশন চালানোর মতো লোকবল আমাদের আছে। শুকনো খাবার, পানীয় জল, ওষুধ, ত্রিপল সহ যাবতীয় জিনিস মজুত করা হয়েছে। নাগরিকদের পরিষেবা দিতে আমরা তৈরি। চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সদস্য (স্বাস্থ্য) জয়দেব অধিকারী বলেন, বিপর্যয় মোকাবিলায় আমাদের টিম পুরোপুরি তৈরি। পুরসভায় আমরা কন্ট্রোল রুম খুলে দিয়েছি। তিন শিফটে সেখানে কর্মীরা কাজ করবেন। যে কোনও প্রয়োজনে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবে আমাদের প্রশিক্ষিত দল। হুগলি জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিপর্যয়ের সময় যে সব সেফ হাউস ব্যবহার করা হয়, সেগুলি ইতিমধ্যেই পরিষ্কার করা হয়েছে। গ্রামের দিকে ‘বিপজ্জনক’ বাড়িতে যাঁরা থাকেন, তাঁদের সতর্ক করা হয়েছে। বলাগড়, মগরা সহ একাধিক জায়গার ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষকেও সতর্ক করেছে স্থানীয় প্রশাসন। প্রয়োজনে তাঁদের সেফ হাউসে চলে যেতে বলা হয়েছে। স্থানীয় হাসপাতাল থেকে জেলা হাসপাতালকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
গঙ্গাপাড়ের দুই জনপদের মধ্যে হাওড়ায় বিশেষ করে হাওড়া পুরসভা এলাকায় জল জমার সমস্যা রয়েছে। ঝড়বৃষ্টির মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় পর্বে তা বড় আকার নেয়। রামেলের ক্ষেত্রে তাই এ ব্যাপারে বিশেষ নজর দিয়েছে হাওড়া পুরসভা। পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১১টি স্থায়ী পাম্পের পাশাপাশি ৬৭টি অতিরিক্ত পাম্প রাখা হচ্ছে। এছাড়াও থাকছে ৬টি মোবাইল পাম্প। এছাড়াও সুয়ারেজ সিস্টেম যাঁরা দেখাশোনা করেন, তাঁদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। বিপর্যস্ত মানুষকে আশ্রয় দিতে বিভিন্ন এলাকার আটটি স্কুলে সেফ হাউস খোলা হয়েছে। হাওড়া ও হুগলির বিভিন্ন পুরসভা ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অতিরিক্ত পানীয় জল মজুত করার কাজ শুরু হয়েছে। প্যাকেটবন্দি জলেরও ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। জেনারেটর সহ নানা প্রয়োজনীয় সামগ্রী মজুত করার কাজ শুরু হয়েছে। নিজস্ব চিত্র