মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
কথায় কথায় জানা গেল, তাঁরা হলেন সুকুমার ঢালি ও সুদর্শন সিংহ। আসন্ন ঘূর্ণিঝড় নিয়ে রীতিমতো শঙ্কিত তাঁরা। কারণ, রায়দিঘির তাঁতিপাড়ায় তাঁদের মাটির বাড়ি, এসবেসটসের ছাউনি। উমপুনের স্মৃতি এখনও টাটকা। সেই ঝড়ে ঘরের চাল উড়ে দেওয়াল ভেঙে গিয়েছিল। অভাবের সংসারে কোনওরকমে দিন কেটে যায় তাঁদের। সুদর্শনের স্ত্রী অহল্যাদেবী বলছিলেন, ‘শুধু একটাই স্বপ্ন, বাড়িটা হয়ে যাক। সরকার থেকে আবাস যোজনার টাকাই পাচ্ছি না।’ সুদর্শন-সুকুমার একসঙ্গে বলে উঠলেন, ‘বার্ধক্য ভাতাটা পাই। ১০০ দিনের কাজ করেছি। কিন্তু টাকা পাইনি। কিন্তু দিদিই আমাদের ভরসা। সকাল সকাল তাই চলে এসেছি দিদির কথা শুনতে।’ পাশ থেকে অহল্যাদেবী স্বামীকে কার্যত ধমক দিয়ে বললেন, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কথাটা বললে না যে...! এখন তো টাকাও বেড়ে গিয়েছে।’
এসব কথাবার্তার মধ্যেই তাঁরা পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থলে। সুকুমারবাবুর চোখে সমস্যা। একটি চোখে ছানি কাটা হয়েছে সরকারি হাসপাতালেই। আর একটা চোখেও সমস্যা রয়েছে। রান্নার দায়িত্ব বৌমাদের দিয়ে স্বামীর সঙ্গে সভায় চলে এসেছেন অহল্যাদেবী। তাঁর কথায়, ‘দিদি আমাদের খুব প্রিয়। একবার মুখটা দেখলেই মনে যেন আলাদা জোর পাই।’