মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন বারাসতের কেএনসি রোড থেকে শুরু হওয়া অভিষেকের রোড শো’য় হাজার হাজার তৃণমূল কর্মী-সমর্থক পা মেলান। সেখানেও মহিলাদের উপস্থিতি ছিল নজরকাড়া। হাতে হাতে তেরঙা বেলুন, অভিষেকের কাটআউট, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে সুদৃশ্য ব্যানার। ঠিক ৫টা ২৬ মিনিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কপ্টার দেখা যায় বারাসতের আকাশে। তৃণমূল সমর্থকদের উচ্ছ্বাসে তখন সরগরম বারাসত স্টেডিয়াম। সেখানে আগে থেকেই হাজির ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, জেলা সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী, প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদার প্রমুখ। অভিষেক গাড়িতে উঠতেই মানুষের ভিড় আছড়ে পড়ল। সেই সঙ্গে শুরু হয়ে যায় অভিষেকের ছবি তোলার হিড়িক। যাত্রাপথে কখনও হাত নাড়িয়ে, কখনও নমস্কার করে জনসংযোগ সারেন অভিষেক। গোটা মিছিল গলা মেলায় ‘বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন’ গানের সুরে। কেএনসি রোডের দু’ধারেও দলে দলে মানুষ দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন অভিষেককে দেখার জন্য। তাঁদের দিকেই গোলাপের পাঁপড়ি ছুনে দিতে দেখা যায় তাঁকে। বাড়ির ছাদ, ব্যালকনিতেও দাঁড়িয়ে ছিল উৎসুক জনতা। এভাবে কার্যত জনসমুদ্রে ভেসে প্রায় দু’কিলোমিটার পথজুড়ে চলে রোড শো। চাঁপাডালি মোড়ে মিছিল পৌঁছনোর পর অভিষেকের গাড়ির সামনে ব্যারিকেড তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেন। জনস্রোত তখন একেবারে অভিষেকের গাড়ির সামনে চলে আসে। সেখানে গাড়িতে দাঁড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ বক্তব্য দেন অভিষেক। বলেন, ‘সমস্ত মানুষ আমাদের সমর্থন করছেন। এই মানুষ সবাই ১ জুন এক নম্বর বোতাম টিপে ভোট দিলে বারাসত কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।’ ইডি, সিবিআইর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, ‘বিজেপি বহুদিন ধরে বারাসত লোকসভাকে টার্গেট করেছে। তাই তদন্তকারীদের আমাদের মন্ত্রী ও বিধায়কদের বাড়িতে পাঠিয়েছে। খালি হাতে ফিরেছে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু নির্যাস শূন্য।’ সেই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘২০২৪-এ গোহারা হারবে বিজেপি। মানুষের চোখে মুখেই তা স্পষ্ট।’