প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
দেশে লকডাউন শুরু হতেই সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলি ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ চালু করেছে। একাধিক স্কুলও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বাড়ি থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। এই বাজারে কার্যত পোয়া বারো জুম অ্যাপের। মার্কিন এই টেলি কনফারেন্সিং অ্যাপ ভারত সহ গোটা বিশ্বেই গত একমাসে ব্যাপক হারে ডাউনলোড হয়েছে। বিভিন্ন টেক সংস্থার তথ্য বলছে, মার্চের একটি দিনে শুধুমাত্র আমেরিকায় ৩.৪৩ লক্ষ বার ডাউনলোড হয় জুম অ্যাপ। কিন্তু, এতগুলি ভিডিও কলিং অ্যাপ থাকতে জুম অ্যাপই কেন জনপ্রিয় হল? টেক গুরুদের মতে, জুম অ্যাপে বিনামূল্যে একসঙ্গে সর্বাধিক ১০০ জন একটি ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিতে পারেন। সর্বাধিক ৪০ মিনিট ধরে চলতে পারে কনফারেন্স। এছাড়া টাকা দিয়ে সাবস্ক্রাইব করলে সুযোগ সুবিধা আরও বেশি। ফলে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ করা জনতা ও পড়ুয়াদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় হয় অ্যাপটি।
মার্চ মাসে প্রথম ধাক্কা আসে নিউ ইয়র্ক থেকে। প্রশ্ন ওঠে অ্যাপে তথ্যের সুরক্ষা ও গোপনীয়তা রক্ষা নিয়ে। নিউ ইয়র্কের শিক্ষা দপ্তর শহরের স্কুলগুলিতে জুম অ্যাপের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে ফেলে। এছাড়া বিভিন্ন দেশে ব্যবহারকারীদের পক্ষ থেকেও তথ্য চুরির অভিযোগ আসছিল। ভারতের সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ক সংস্থা ক্রেট কয়েকদিন আগে জুম অ্যাপের তথ্যের সুরক্ষা ও গোপনীয়তা নিয়ে ব্যবহারকারীদের সতর্ক করেছিল। এবার কেন্দ্রের পক্ষ থেকে অ্যাপটিকে সরাসরি নিরাপদ নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হল। ব্যবহারকারীদের বাড়তি সতর্ক থাকার কথাও বলা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, জুম অ্যাপ ব্যবহার করার সময় কয়েকটি নির্দেশিকা মেনে চলা উচিত। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য, ই-কনফারেন্স রুমে অবাঞ্চিত কেউ যেন প্রবেশ করতে না পারে।