বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
এবারের মরশুমে ১৪ ম্যাচ খেলে ধোনির ব্যাটে এসেছে ১৬১ রান। গড় (৫৩.৬৭) ও স্ট্রাইক রেট (২২০.৫৫)— দুটোই নজরকাড়া। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে মরণ-বাঁচন ম্যাচেও মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে ছিলেন তিনি। রান তাড়া করতে নেমে ধোনির ব্যাটে ১৩ বলে আসে ২৫। চেন্নাই সুপার কিংসকে জেতাতে না পারলেও প্রশংসিত হয় তাঁর প্রচেষ্টা। একটি ইউ টিউব চ্যানেলে ধোনি জানিয়েছেন, ফিটনেসই তাঁকে অদম্য করেছে। দু’বারের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের মতে, এই পর্যায়ে খেলতে গেলে ফিট থাকা ছাড়া কোনও উপায় নেই। মাহির কথায়, ‘সারা বছর আমি ক্রিকেটের মধ্যে থাকি না। ফলে আমার পক্ষে আইপিএলে নেমে সুনাম ধরে রাখার কাজটা বেশ কঠিন। তার জন্য আমায় ফিট থাকতেই হয়। আইপিএলে খেলা মানে অনেক কমবয়সিদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামা। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই নিয়মিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিচ্ছে। ওরা তই ফিট। ওদের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া মুখের কথা নয়। পেশাদার ক্রীড়ায় বয়সের জন্য তো আর ছাড় পাওয়া যায় না! তাই এই বয়সে খেলতে হলে জুনিয়রদের মতোই ফিট থাকা জরুরি। সিনিয়র বলে মাঠের মধ্যে কেউ নরম মনোভাব দেখাবে না। তাই খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাসে বদল আনা দরকার। ট্রেনিংও করতে হয়। সুবিধা হল, সোশ্যাল মিডিয়ায় আমি নেই। তাই অন্যদিকে মন বিক্ষিপ্ত হয় না।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের পর স্ত্রী-কন্যার সঙ্গে সময় কাটানোয় জোর দিয়েছেন তিনি। মাহি বলেছেন, ‘এখন আমি পরিবারকেই বেশি সময় দিই। পাশাপাশি, মানসিকভাবে চাঙ্গা থাকার জন্য ফার্মের কাজে ব্যস্ত থাকি। মোটরবাইকে ঘুরতে বেরিয়ে পড়ি। এগুলো উদ্বেগ কমায়। তরতাজা করে তোলে। আবার গ্যারাজে কিছু সময় কাটালেও মন ভালো হয়ে যায়। কুকুর পুষতেও ভালো লাগে। ওরা নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসে। খেলায় জিতি বা হারি, ওরা একইভাবে আমাকে দেখে আনন্দ প্রকাশ করে।’ এদিকে, রাহুল দ্রাবিড়ের উত্তরসূরি হিসেবে স্টিফেন ফ্লেমিংকে পছন্দ বোর্ডের। কিন্তু চেন্নাই সুপার কিংসের বর্তমান কোচ ২০২৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব নিতে নারাজ। তাই তাঁকে রাজি করাতে ধোনির সাহায্য নিতে পারে বিসিসিআই।