প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
বুধবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ রঘুনাথবাড়ি স্টেশনে ডাউন হলদিয়া-হাওড়া লোকাল ট্রেন থেকে নেমে তিন ফল ব্যবসায়ী লাইন বরাবর হেঁটে যাচ্ছিলেন। তাঁদের মধ্যে দু’জন মহিলা এবং একজন পুরুষ। তাঁরা সকালে ওই স্টেশনে ট্রেন ধরে পাঁশকুড়া পৌঁছন। সেখানে ফল কিনে ট্রেনে হলদিয়ায় যান। শিল্পশহরে ফল বিক্রি করে ফের লোকাল ট্রেনে চড়ে সন্ধ্যায় রঘুনাথবাড়ি স্টেশনে নেমে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময়ই দুর্ঘটনা ঘটে যায়।
লাইন বরাবর হেঁটে যাওয়ার সময় আচমকা পাঁশকুড়া থেকে দীঘাগামী লোকাল চলে আসে। অন্যদিকে, রঘুনাথবাড়ি স্টেশনে স্টপেজ দেওয়ার পর হাওড়াগামী লোকালও ছেড়ে দেয়। দু’দিক থেকে ট্রেন এসে পড়ায় ওই তিন যাত্রী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। স্টেশন লাগোয়া শুকুটিয়া গ্রামে তিনজন হাওড়াগামী ট্রেনে কাটা পড়েন। দু’জন ঘটনাস্থলে মারা যান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তৃতীয়জনের মৃত্যু হয়। হলদিয়া জিআরপির পক্ষ থেকে দেহ উদ্ধার করে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়। জিআরপি ওসি তরুণকুমার কুণ্ডু বলেন, ট্রেনে কাটা পড়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃত জয়দেববাবুর ছেলে সিদ্ধার্থ বলেন, বাবা নিয়মিত পাঁশকুড়া থেকে ফল নিয়ে হলদিয়ায় বিক্রি করে ট্রেনে বাড়ি ফিরত। বাড়ি থেকে স্টেশনে টোটোয় যাতায়াত করত। কিন্তু স্টেশনের সামনে হাঁটুসমান জল। যেকারণে এখন টোটোয় যাতায়াত করা যাচ্ছিল না। তাই লাইনের উপর দিয়ে হেঁটে যাতায়াত করত। বুধবার সন্ধ্যায় যে ট্রেনে চড়ে হলদিয়া থেকে বাড়ি ফিরছিল সেই ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে। স্টেশন এলাকা জলমগ্ন থাকায় যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে লাইন বরাবর হেঁটে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন। আগেই রেল কর্তৃপক্ষের বিষয়টিতে নজর দেওয়া উচিত ছিল।
স্থানীয় বাসিন্দা চন্দন মাজি বলেন, এক মাসের বেশি সময় রঘুনাথবাড়ি স্টেশনে যাতায়াত করা যাত্রীরা নাজেহাল হচ্ছেন। স্টেশনের সামনে অনেক জল। রেল কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই। তারজন্যই তিনটি প্রাণ চলে গেল। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি। রঘুনাথবাড়ির স্টেশন মাস্টার বলেন, আমি এনিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।